Beta
বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

জানুয়ারিতে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

২২ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শেষদিনে আহমেদ মুস্তাফা জামাল।
২২ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শেষদিনে আহমেদ মুস্তাফা জামাল।
[publishpress_authors_box]

নতুন বছরের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ৯ দিনব্যাপী ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উদযাপনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ১১ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই উৎসবে সরকারের বাইরেও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আহ্বান করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।

প্রতিবারের মতো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই দেশ ও বিদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা ও পুরস্কার প্রদানের আয়োজন থাকছে উৎসবে।

উৎসব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এরই মধ্যে নির্বাচিত হয়েছে প্রদর্শনীযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো। চূড়ান্ত বাছাইয়ের পর এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিশে ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম ও উইমেন্স ফিল্ম সেশনে বাংলাদেশসহ ৭০টি দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র স্থান পাচ্ছে এবারের উৎসবে।

ইতিমধ্যে চলচ্চিত্রগুলো সার্টিফিকেশন বোর্ডের মাধ্যমে প্রদর্শনীর অনুমতিগ্রহণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।

তিনি বলেন, “তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা এই উৎসব বাংলাদেশ ও এদেশের বোদ্ধা দর্শক ও প্রতিভাবান নির্মাতাদের সঙ্গে বিশ্ব চলচ্চিত্রের সেতুবন্ধন নির্মাণ করতে পেরেছে বলে আমাদের ধারণা। উৎসবের পরিচালক হিসেবে আমি সবসময়ই চেষ্টা করেছি দল ও মতের উর্ধ্বে থেকে, উৎসবটিকে নির্দলীয় জায়গা থেকে পরিচালনা করতে, আর সেটা সফলভাবে তিনদশকের বেশি সময় ধরে করতে পেরেছি বলেই, সকল রাজনৈতিক ও নির্দলীয় সরকারের আমলে আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সাথে সফল আয়োজন করতে পেরেছি এবং উৎসাহ পেয়েছি দেশের বিভিন্ন প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বোদ্ধাদের কাছ থেকে।”

উৎসব বাস্তবায়নে প্রতিবছরের মতোই এবারও সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। পাশাপাশি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতাকে সাফল্যমন্ডিত উৎসব বাস্তবায়নে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশকে মর্যাদার সাথে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে একমাত্র আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এটি। প্রতিবারই ইচ্ছা থাকে অত্যন্ত বর্ণাঢ্যভাবে উৎসবটি উদযাপনের। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থায়ন না পাওয়ায় কিছুটা হিমশিম খেতে হয় আমাদের। আশা করি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেবামূলক মন থেকেই শিল্প-সংস্কৃতির পাশে দাঁড়িয়ে চলচ্চিত্রের এ আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মের সাফল্যের অংশীদার হতে এগিয়ে আসবেন।”

‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’- এই স্লোগান সামনে রেখে ১৯৯২ সাল থেকে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি নিয়মিত আয়োজন করে আসছে দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও বড় চলচ্চিত্র উৎসবটি।

এবারের উৎসবেও প্রায় অর্ধ শতাধিক বিদেশি চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট গুণী ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানালেন আহমেদ মুজতবা জামাল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত