মালদ্বীপের কোচ আলী সুজেইনের চেহারায় যেন স্বস্তির ছাপ। সংবাদ সম্মেলনে এসে দীর্ঘ দিন ফুটবল মাঠে না নামার আক্ষেপের কথা বলছিলেন। প্রায় বছরখানেক কোনও আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলে না দ্বীপ দেশটি।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ দিয়ে নতুন শুরু হবে মালদ্বীপের। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে খেলা।
হাভিয়ের কাবরেরা এই ম্যাচটিতে জয়ে চোখ রেখেছেন। এই ম্যাচ জিততে পারলে বাংলাদেশ র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যাবে। এতে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ড্রয়ে পট থ্রি-তে অনেকটাই সমমানের দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাবে।
তাই এমন সুযোগ নিজেদের মাঠে পেয়ে হাতছাড়া করতে চাইছে না কেউই। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে মালদ্বীপ আছে ১৬৩-তে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৫ নম্বরে। প্রথম ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, “সত্যি বলতে, আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আমরা শুরুতে কয়েকজনকে নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছিলাম, পরে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়েরা যোগ দিয়েছিল। এরপর আমরা ফর্টিসের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি, যেটা ছিল ইতিবাচক ব্যাপার। আমি চাই, ছেলেরা সমর্থকদের জন্য খেলুক, দায়িত্ব নিয়ে খেলুক এবং ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো পারফরম্যান্স করুক।”
নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া পারিবারিক কারণে এই ম্যাচে নেই । ডিফেন্ডার তপু বর্মণ অধিনায়ক। আত্ববিশ্বাসী তপু বলেন, “প্রস্তুতি খুবই ভালো হয়েছে আমাদের। এখন প্রতিটি ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এরই মধ্যে কোচ যা বলার সব বলে দিয়েছেন। এ জায়গায় আমার মনে হয়, আমাদের খেলোয়াড়দের কী করণীয়, কী কাজ, সেটা সবাই জানে। কাল প্রমাণ দিতে হবে আমাদের যে, আমরা কাজ করেছি, আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। দলের সবার প্রতি আমার বিশ্বাস আছে, বিশ্বাস রাখছি।”
মালদ্বীপের আগে ঘরোয়া ফুটবলে ফর্টিস এফসির বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে জিতেছে বাংলাদেশ। সেখানে নিজেদের শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছে সবাই। তপুর কণ্ঠে তেমনই সুর, “ফর্টিসের বিপক্ষে ওই ম্যাচ দুটোয় আমাদের জন্য জয় মুখ্য ছিল না, ওইখানে আমরা কী করেছি, কি ভুল করেছি, সেটা আমরা বুঝতে চেষ্টা করেছি, কাজ করেছি, সেটা যদি আমরা মাঠে প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে আশা করি ভালো করতে হবে। অনূর্ধ্ব-২০ দল এবং নারী দলকে আমরা অভিনন্দন জানাতে চাই। এখন আমাদের পালা, আমাদের মাঠে খেলা, নিশ্চিতভাবেই আমাদের এখানে ভালো রেজাল্ট করতে হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি।”
মালদ্বীপের সঙ্গে সর্বশেষ তিন ম্যাচে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো। দুটিতে জয় ও একটিতে ড্র। বিশেষ করে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ড্র ও জয় আছে। যদিও ২০১৬ সালে মালেতে গিয়ে ৫ গোলে হারের লজ্জা আছে। দুই দল এখন পর্যন্ত ১৮ বার মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশ জিতেছে ৬টিতে। ড্র ৪টিতে। মালদ্বীপ জিতেছে ৮ ম্যাচ।
মালদ্বীপ ম্যাচের আড়ালে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের চিন্তাও ভর করেছে তপুর মনে, “দলের সবাই এটাই মনে করে যে, দুইটা ম্যাচে সেরাটা দিতে হবে। আমাদের লক্ষ্য এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ভালো করা, নিশ্চিতভাবে সেটা করতে হলে এখানে সেরাটা দিতে হবে। মৌসুমের শেষ ম্যাচ, আমরা চাই যে শেষ ভালো যার সব ভালো তার।”