এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে জনবান্ধব বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অন্তর্ভুক্তিমূলক বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
ওই অঞ্চলের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সোমবার ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এক আঞ্চলিক সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান বলে সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রধান বিচারপতি।
সেখানে দেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “একটি গণমুখী, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রকাঠামো বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা থেকেই ওই সময় ছাত্র-জনতার স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থান হয়।
“একটি দেশে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার বিভাগ কতটা জরুরি, এই অভ্যুত্থান তা আরও স্পষ্ট করেছে।”
এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঔপনিবেশিক বিচার ব্যবস্থা অনেক ক্ষেত্রে মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বর্তমান প্রেক্ষাপটে আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে সব নাগরিকের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।”
উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া চালুর বিষয়ে শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিচার ব্যবস্থা সহজলভ্য করতে এবং বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে ই-জুডিশিয়ারি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”