গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও আটজনের। তাদের নিয়ে চলতি বছরে সরকারি হিসাবে মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়াল। দেশে ডেঙ্গুর ইতিহাসে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগের দিন সকাল আটটা থেকে শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আটজনের। তাদের নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হলো ৪০৭ জনের।
৪০৭ জনের মধ্যে দেশের সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ২৪৬ জনের আর সিটি কর্পোরেশনের বাইরে মৃত্যু হয়েছে ১৬১ জনের।
২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু নজরে আসে সরকারের। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। প্রাণও হারায় রেকর্ড সংখ্যক; এক হাজার ৭০৫ জন। এর আগে ২০২২ সালে মৃত্যু হয় ২৮১ জনের, ২০২১ সালে ১০৫ জনের আর ২০১৯ সালে মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। বাকিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের হাসপাতালে দুইজনের আর চট্টগ্রাম বিভাগের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
চলতি মাসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হলো ৯২ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া পুরো বছরের তথ্যে দেখা যায়, বছরের শুরুতে জানুয়ারিতে মৃত্যু হয় ১৪ জনের, ফেব্রুয়ারিতে তিনজনের, মার্চে পাঁচ জনের, এপ্রিলে দুইজনের, মে মাসে ১২ জনের, জুনে মৃত্যু আটজনের, জুলাইয়ে ১২ জনের, আগস্টে ৩০ জনের, সেপ্টেম্বরে ৮০ জনের আর গত অক্টোবরে মৃত্যু হয়েছে ১৩৫ জনের।
মোট ৪০৭ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে, ১৭৬ জনের। এরপর রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে; ৬৮ জন। বরিশাল বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জনের, ঢাকা বিভাগে ৩৩ জনের, খুলনা বিভাগে ২১ জনের, ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ জনের, রাজশাহী বিভাগে পাঁচজন আর সিলেট বিভাগে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯৯৪ জন। তাদের নিয়ে চলতি বছরে সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৯৫ জন। আর চলতি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী সংখ্যা ১৬ হাজার ৭৭৮ জন।