রাজশাহীর বদলগাজীতে রবিবার তাপমাত্রা নেমেছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বিভাগের অন্য জেলাগুলোতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সাড়ে ১৬ ডিগ্রির নিচে। প্রায় একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতেও।
দেশের উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীত যখন জেঁকে বসতে শুরু করেছে, তখন বিপরীত চিত্র রাজধানীতে। ঢাকায় শীতের দেখা তো নেই-ই, উল্টো দিনের বেলায় রোদের দাপটে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাচ্ছে। একই চিত্র দেখা যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতেও।
এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এবার একটু দেরিতে শীত আসবে ঢাকায়। তার আগে হতে পারে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের পর শৈত্যপ্রবাহ সঙ্গে নিয়ে ডিসেম্বরে শীত আসতে পারে ঢাকায়।
রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, রাজশাহী, পঞ্চগড়ের দিকে শীত পড়েছে। ঢাকায় এবার শীত দেরিতে আসবে।
“ঢাকায় শীত নেই। দিনে গরম পড়ছে, রাতে হালকা ঠান্ডা। এ অবস্থা থাকবে আরও কিছুদিন। ডিসেম্বরে গিয়ে ঢাকায় শীতের দেখা মিলতে পারে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় শীত নামার আগে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে জানিয়ে ওমর ফারুক বলেন, “বঙ্গোপসাগরে দুই থেকে পাঁচটির মতো লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কয়েকটির।”
তিনি বলেন, “শীত ধরা হয় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়ের ভেতর শীতের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে শৈত্যপ্রবাহ হয়, যা কিনা শীতের সময় ভোগান্তি তৈরি করে মানুষের।”
এবারও কয়েকটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি দুই থেকে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিলেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।
“দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবার দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভবনা প্রবল, এগুলো তীব্র হতে পারে। এছাড়া আরও কয়েকটি মৃদৃ শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে।”
তবে এসব মৃদু বা তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কোনোটিই নভেম্বরে হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরা হয়।
এছাড়া তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মাঝারি; ৪ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে নামলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়।