ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবিরকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। এ অভিযোগে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রবিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বিমানবন্দরে নূরুল কবিরকে হয়রানির বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে এসবি বলেছে, বিগত শেখ হাসিনা সরকারের করা ‘ব্লকড লিস্টের’ কারণে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। এ তালিকায় কয়েক হাজার ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যাতে তাদের বিদেশ সফর আটকে দেওয়া যায় বা বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত রাখা যায়।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পুলিশের বিশেষ শাখা সেই তালিকা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তি, ভিন্নমতাবলম্বী, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের বাদ দেওয়া শুরু করে। কাজটির বেশির ভাগই হয় হাতে-কলমে। ফলে কিছু ভিন্নমতাবলম্বী ও সাংবাদিকের নাম এখনও রয়ে গেছে। তালিকাটি দ্রুত যাচাই করে সংশোধন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
কলম্বোতে অনুষ্ঠিত এশিয়া মিডিয়া ফোরামে অংশ নিতে ১৮ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা যান নূরুল কবির। ফেরেন গত শুক্রবার।
পরদিন শনিবার নূরুল কবির নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেন, সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি।
সোশাল মিডিয়ায় নূরুল কবিরের অভিযোগের পরপরই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নূরুল কবিরের অভিযোগ সম্পর্কে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, “আমরা এই ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনও সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা বরদাশত করবে না।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো ওই বার্তার পরপরই নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনা তদন্তে নামে এসবি।