Beta
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

শুধু মস্তিষ্কই নয়, স্মৃতি থাকে শরীরের কোষেও  

শুধু মস্তিষ্কই নয়, স্মৃতি থাকে শরীরের কোষেও
[publishpress_authors_box]

যার মনে রাখার ক্ষমতা ভালো, তার ‘ব্রেইন ভালো’ বলে বাকিরা প্রশংসা করে থাকে। মানুষের স্মৃতি কিংবা স্মরণ শক্তির আধার হলো মস্তিষ্ক; এভাবেই এতোদিন ধরে জেনে এসেছে সবাই। এই ধারণার সঙ্গে এবার হয়তো সামান্য দ্বিমত করার সুযোগ করে দিচ্ছে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।

নতুন এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, মানুষের শরীরের কোষও জানে মনে রাখার কৌশল।

“শেখা এবং মনে রাখা বরাবরই মস্তিষ্ক ও এর কোষের কাজ বলা হলেও আমাদের গবেষণা বলছে, শরীরের বাকি অংশের কোষও শিখতে পারে এবং তা মনেও রাখতে জানে”, বললেন নিউরোসায়েন্টিস্ট নিকলায় কুকুশকিন।

কীভাবে এই প্রক্রিয়া ঘটে চলে শরীরে তা বিশ্লেষণ করা গেলে স্মৃতিশক্তি জনিত অনেক সমস্যার ফলপ্রসূ চিকিৎসা সম্ভব হতে পারে বলে আশা করছেন কুকুশকিন।

অনেকেই পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ঝাড়া মুখস্ত করেন। বারবার কোনো আচরণের পুনরাবৃত্তি থেকে রাসায়নিক তৎপরতার কারণে মানুষের নিউরন স্মৃতি গঠন প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। এই প্রক্রিয়া ম্যাসড-স্পেসড ইফেক্ট নামে পরিচিত। সব প্রাণীর মধ্যেই কোষীয় এবং আচরণগত স্তরে এই প্রক্রিয়া দেখা যায়।

মস্তিষ্কের সঙ্গে সম্পর্কহীন স্নায়ু এবং কিডনি কোষ নিয়ে পরীক্ষাগারে একই মাসড-স্পেসড ইফেক্ট দেখতে পান গবেষক কুকুশকিন ও তার সহকর্মীরা। পরীক্ষায় নিউরনে স্মৃতি গঠন সহায়ক জিন এসব কোষেও সক্রিয় পাওয়া যায়। লুসিফেরেস প্রোটিন মিশিয়ে পরীক্ষাগারে জিনের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হয়।

কুকুশকিন ব্যাখ্যা করেন, “মাসড-স্পেসড ইফেক্ট প্রক্রিয়ায় শেখার ক্ষমতা শুধু মস্তিষ্কের কোষেরই আছে তা নয়, সম্ভবত সব কোষেই এই মৌলিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।”

স্নায়ু এবং কিডনি কোষের প্রতিক্রিয়া নির্ভর করেছিল প্রোটিন কাইনেজ এ (পিকেএ) এবং সি (পিকেসি) দেয়ার পরিমাণের উপর। স্মৃতি গঠনের সংকেত প্রেরণ প্রক্রিয়ার এসব রাসায়নিক কাজ করে।

“আমাদের শরীরের প্রতিটি জায়গায় যে মেমরি বিদ্যমান, তা স্বাস্থ্য এবং রোগের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে”; সাইকোলজি টুডেতে এমনটাই লিখেছেন কুকুশকিন।

যদিও মানব শরীরে স্মৃতি ধারণের প্রক্রিয়া নিয়ে আরো জানার রয়েছে বলেও মনে করছে এই গবেষক দল।।

এর আগে গবেষকরা নিউরন আচরণ অধ্যয়নে কাজে ব্যবহার করা সি হেয়ার নামের প্রাণীতে পিকেএ এবং এক্সট্রাসেলুলার সিগনাল-রেগুলেটেড কিনেজ এনজাইমের মধ্যে সংযোগ খুঁজে পেয়েছিল।

“আমাদের শরীরকে আরও বেশি করে মস্তিষ্কের মতোই ভাবতে হবে,” কুকুশকিন পরামর্শ দেন।

“যেমন আমাদের অগ্ন্যাশয় কীভাবে আমাদের আগের খাবারের ধরন মনে রাখে যাতে রক্তের গ্লুকোজের স্বাস্থ্যকর স্তর বজায় রাখা যায় অথবা ক্যান্সার কোষ কীভাবে কেমোথেরাপির ধরন মনে রাখে, তা বোঝার আছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত