টানা চার ম্যাচ গোলহীন ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না কোনোভাবে, কেননা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের কারণে আক্রমণের বাম প্রান্তে নিজের প্রিয় পজিশনটা পাননি রিয়ালে।
লেগানেসের বিপক্ষে আরও একবার জায়গা বদলে কোচ আনচেলোত্তি তাকে খেলালেন বাম প্রান্তে। আর ভিনিসিয়ুসকে নামিয়েছিলেন সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে। দুই ফরোয়ার্ড-এর এই বদলের সুফলই পেল রিয়াল।
লা লিগায় লেগানেসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বার্সার সঙ্গে ব্যবধান কমাল তারা। একটি করে গোল এমবাপ্পে, ফেদে ভালভের্দে ও জুড বেলিংহামের। এক নম্বরে থাকা বার্সার পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৪। ১৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল উঠে এল দ্বিতীয়স্থানে।
লা লিগার ফল
লেগানেস ০ : ৩ রিয়াল মাদ্রিদ
সেভিয়া ১ : ০ ভায়েকানো
ওসাসুনা ২ : ২ ভিয়ারিয়াল
দলের দুই তারকার জায়গা বিদল নিয়ে আনচেলোত্তি জানালেন, ‘‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দারুণ একটা ম্যাচ ছিল। আমরা দুজনের পজিশন বদলেছিলাম। এমবাপ্পে ছিল আউটসাইডে আর ভিনি ইনসাইডে। ওরা ভালো করেছে। ভিনির পাসেই গোল করেছে এমবাপ্পে। বাম দিকে খেলতে বেশি অভ্যস্ত এমবাপ্পে। মাঝখানে খেলার চেয়ে আউটসাইডে খেলাটা বেশি ক্লান্তিকর। ভিনি মাত্রই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে এসেছে, আর এমবাপ্পে ওর তুলনায় বেশি সতেজ ছিল (জাতীয় দলে না খেলায়)। ওরা দুজনই ধীরে ধীরে উন্নতি করছে।’’
দলে নিজের জায়গা বদল নিয়ে আপত্তি নেই এমবাপ্পেরও, ‘‘আমি অন্য পজিশনে খেললাম তবে প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি সব পজিশনে খেলতে পারি। আজ অন্য পজিশন ছিল পরের ম্যাচে আবারও জায়গা বদল হতে পারে। আমি দলকে সাহায্য করতে তৈরি সবসময়। আমি ডান, বাম বা ফরোয়ার্ড হিসেবে মাঝখানেও খেলতে পারি কোনো সমস্যা নেই।’’
ম্যাচজুড়ে ১৬টি শট নিয়ে ৯টি লক্ষ্যে রেখেছিল রিয়াল। লেগানেসের ৪ শটের সবকটি ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। ৪৩তম মিনিটে লেগানেসের রক্ষণের ভুলে বক্সের ডান দিকে আলগা বল পেয়ে ভিনিসিয়ুস পাস দেন এমবাপ্পেকে, যা জালে জড়াতে ভুল করেননি ফাঁকায় থাকা এই ফরাসি। লিগে ১২ ম্যাচে এটা তার সপ্তম গোল।
৬৬তম মিনিটে ফ্রিকিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়ালের অধিনায়ক ফেদে ভালভের্দে। দানি সেবাইয়োসের টোকায় বল থামান গুলের, আর নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভালভের্দে।
৮৫ মিনিটে বেলিংহামের গোলে সহজ জয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। ব্রাহিম দিয়াসের শট পোস্টে লাগলেও ফিরতি বল হেডে জালে পাঠান তিনি।