ঢাকায় সমাবেশের ডাক দিয়ে তাতে যোগ দিতে অর্থের প্রলোভন দেখানোর অভিযোগে ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান’ নামে একটি সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি দল সোমবার রাতে ঢাকার শান্তিনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, অহিংস গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ও অন্যতম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলমকে গ্রেপ্তারের পর শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ আইন প্রণয়নের দাবিতে সোমবার ভোরে ঢাকার শাহবাগে সংহতি সমাবেশের ডাক দেয় অহিংস গণঅভ্যুত্থান।
তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে রবিবার রাতে সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ বাস, মাইক্রোবাস ও পিকআপে করে শাহবাগ এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে।
শাহবাগ এলাকায় হঠাৎ এত মানুষের ভিড় দেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে রাতেই শাহবাগ এলাকায় টহল বাড়ায় পুলিশ।
অহিংস গণঅভ্যুত্থানের ডাকে শাহবাগে আসা লোকজন পরে পুলিশকে জানায়, সংগঠনটি থেকে তাদের বলা হয়েছে, বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। শাহবাগে উপস্থিত হলে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে।
পরে পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর তৎপরতায় সেই সমাবেশ পণ্ড হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লোকজনকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা।
সেসময় শাহবাগে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে দৈনিক প্রথম আলো। তারা জানায়, শাহবাগে ঠিক কী হবে, তা তারা জানে না। অহিংস গণঅভ্যুত্থানের লোকজন তাদের বলেছে, শাহবাগে যারা উপস্থিত হবে, তাদের এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে। এজন্যই তারা শাহবাগে এসেছে।
তাদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, ঢাকায় সমাবেশে যোগ দিতে নিবন্ধন ফি বাবদ ১ হাজার করে টাকা তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।