আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গণধোলাই দিয়ে থানায় নিতে বলা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া (দক্ষিণ) থানার ওসি আহসান হাবিব খানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তাকে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে কী কারণে তাকে সরানো হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি সেখানে।
রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আহসান হাবিব খান।
সরফভাটা উচ্চবিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এ সভার আয়োজন করে ইউনিয়ন বিএনপি। সেখানে পুলিশ কর্মকর্তা আহসান হাবিবের দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। এরপর তাকে সরানোর নির্দেশনা এল।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. রাসেল বলেন, প্রশাসনিক কারণে আহসান হাবিব খানকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই থানায় নতুন ওসি দেওয়া হবে।
আহসান হাবিব সপ্তাহ খানেক আগে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি হিসাবে যোগ দেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইলে।
ভিডিওতে আহসান হাবিবকে বলতে শোনা যায়, “যারা ৫ আগস্টের আগে বিভিন্ন নিরীহ মানুষের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে, মারপিট করছে, দখল করেছে, তাদের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ায় ঠাঁই নেই। তাদেরকে গণধোলাই দিয়ে থানায় নিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঠাঁই হবে না। তাদরকে গণধোলাই দিয়ে থানায় নিয়ে আসতে হবে।”
এই বক্তব্য দেওয়ার সময় মাথার টুপি সামনের টেবিলে খুলে রাখলেও পুলিশের পোশাক গায়েই ছিল আহসান হাবিবের। তার বক্তব্য শুনে বিএনপি নেতা-কর্মীরা হাততালি দিচ্ছিলেন।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের এই পর্যায়ে যদি আজ আওয়ামী লীগ থাকত, তাহলে আপনাদের ঠ্যাং-ঠোং (হাত-পা) ল্যাংড়া হয়ে যেত।”
বক্তব্যে নিজেকে ‘বিএনপির লোক’ হিসাবে তুলে ধরেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। ‘খাঁটি’ বিএনপি নেতা-কর্মীদের তালিকা চেয়ে আহসান হাবিব বলেন, “আমাদের কিছু বিএনপির লোক আওয়ামী লীগের সাথে মিশে গেছে। অরিজিনাল ওয়ার্ডভিত্তিক বিএনপি নেতা-কমীর্দের একটা লিস্ট আমি চাই।”