সংঘাত-সহিংসতায় উদ্বেগের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির এই নেতা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
সরকারপ্রধানের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের দেখা করার খবর তখন এল যখন কয়েকটি কলেজের মধ্যে চলা সংঘাতে উত্তপ্ত ঢাকা, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছেন তার ভক্ত-অনুসারীরা। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে চিন্ময়ের অনুসারীদের সেই বিক্ষোভ পুলিশ ছত্রভঙ্গের পরেই উদ্ধার করা হয় সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম আলিফের লাশ, যে মৃত্যু এরই মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিএনপির এক নেতা সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়েই মূলত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন মির্জা ফখরুল। এছাড়া অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে।
মির্জা ফখরুল বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেবেন।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্র সংস্কার। সে লক্ষ্যে গঠন করা হয় ছয়টি সংস্কার কমিশনও। তবে বিএনপি বারবারই বলে আসছে, সংস্কারের দায়িত্ব জনগণের নির্বাচিত সরকারের। দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণারও আহ্বান জানানো হয় সরকারকে।
সবশেষ গত ৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ড. ইউনূসের কাছে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি।
এর মধ্যে দায়িত্ব নেওয়ার ১০০ দিন উপলক্ষ্যে ১৭ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা। এর প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ওই ভাষণে নির্বাচনী রূপরেখা না থাকায় আশাহত হয়েছেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা তার সব প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নির্বাচনের রূপরেখা দেবেন।”
দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হলে তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানাই।”
প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সেই ভাষণের ১০ দিন পর তার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল।