আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইসকনকে জঙ্গী, সন্ত্রাসী, উগ্রবাদি সংগঠন এবং স্বৈরাচারের দোসর বলে আখ্যা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। একই সঙ্গে দ্রুত বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিও তুলেছেন তারা।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম শহরের টাইগারপাস মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন দুই ছাত্রনেতা।
এর আগে তারা সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজায় অংশ নেন। সেখান থেকে সরাসরি টাইগারপাস মোড়ে যান এবং সমাবেশে বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তারা এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেন।
সমাবেশ থেকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
ইসকন স্বৈরাচারের সঙ্গী হয়ে ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে অভিযোগ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমরা ভুলে যাই নাই এই ইসকন কীভাবে গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠেছে। আজকে জঙ্গী সংগঠন হিসেবে স্বৈরাচারের সঙ্গী হয়ে ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ভারতের বুবু, ভারতের হাসিনা এই বাংলাদেশে তোমার আর ঠাঁই হবে না। ভারতে বসে যতই ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হোক না কেন, আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেবো।”
দেশে সকল ধর্মের সহাবস্থান থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, “ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা উগ্রবাদী সংগঠন পরিচালনা করবে, বাংলাদেশে তাদের কোনও জায়গা হবে না।”
সব ধর্মের প্রতি সহানুভূতি থাকলেও সেটিকে দুর্বলতা ভাবা ভুল হবে উল্লেখ করে সারজিস বলেন, “যে রক্তের উপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা এই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, যে রক্তের উপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, সেই রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এই চিন্ময়রা উস্কানি দেয়। সেই রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ভারতের কিছু প্রেতাত্মারা উস্কানি দেয়। আমরা স্পষ্ট করে সকল প্রেতাত্মাদের বলে দিতে চাই, আমরা ১৬ বছরের খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি এবং ছোটোখাটো কিছু জঙ্গী ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা।”