ঘরোয়া ফুটবল মৌসুমের প্রথম ম্যাচে গত ২২ নভেম্বর বসুন্ধরা কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান। বাংলাদেশ ২.০ চ্যালেঞ্জ কাপের ম্যাচটি হয়েছিল বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়।
ওই ম্যাচে এগিয়ে থেকেও মোহামেডান হেরেছিল শেষ পর্যন্ত। ওই ম্যাচে হারের জন্য মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদ সমর্থকদের ছোড়া স্মোক ফ্লেয়ারকে দায়ী করেন। মোহামেডান ক্লাব কর্তৃপক্ষ সেই ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে বুধবার বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বরবার চিঠি দিয়েছে। যেখানে ওই ম্যাচে হওয়া বাজে ঘটনার ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় নিরাপত্তাহীনতার জন্য ভবিষ্যতে কোনও ম্যাচে অংশ না নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে মোহামেডান।
মোহামেডান ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ কাজী ফিরোজ রশীদ স্বাক্ষরিত চিঠির বিষয়বস্ত ‘চ্যালেঞ্জ কাপ এর ফাইনালে ইচ্ছাকৃত অপ্রীতিকর ঘটনা প্রসঙ্গে।’ এই চিঠিতে মোহামেডান ক্লাব ৬২ মিনিটে মাঠে রঙিন স্মোক ফ্লেয়ার ছুঁড়ে দেওয়ার ঘটনার বিশদ বিবরণ দিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে ম্যাচের প্রথমার্ধে ঐ অংশে দর্শক-সমর্থক ছিল না এবং দ্বিতীয়ার্ধে পরিকল্পিতভাবে সেখানে দর্শক প্রবেশ করে। মোহামেডান ক্লাবের দাবি, বসুন্ধরা কিংসের ৫০/৬০ জন সমর্থকের দল তাদের গোলরক্ষককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভুভুজেলার বাঁশিতে বিরক্ত করেছে। এক পর্যায়ে বসুন্ধরা কিংসের সমর্থকরা মোহামেডানের ফুটবলারদের ওপর স্মোক ফ্লেয়ার ছুঁড়ে মারে। এতে বিদেশি রেফারি খেলা স্থগিত করতে বাধ্য হয়। সামগ্রিক ঘটনার পেছনে মোহামেডান ক্লাব মনে করছে, বসুন্ধরা কিংসের সমর্থকরা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সুপরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
স্মোক ফ্লেয়ারে খেলা স্থগিত হওয়ার আগ পর্যন্ত মোহামেডান ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। খেলা মিনিট দশেক স্থগিত হওয়ার পর (মোহামেডানের দাবি ২০ মিনিট) পুনরায় শুরুর তিন মিনিটের মধ্যে তপু বর্মণের গোলে বসুন্ধরা কিংস সমতায় আনে ম্যাচে। পরে আরও দুই গোল করে ম্যাচ জেতে বসুন্ধরা কিংস।
ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে সেদিন খেলাটি শেষ করলেও বাফুফেকে ঐ ঘটনায় সুষ্ঠ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে অন্যথায় ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি ফিফায় আবেদনের হুমকিও দিয়েছে।
চ্যালেঞ্জ কাপে সমর্থকদের ছোড়া স্মোক ফ্লেয়ারের বিষয়টি ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টে আছে। যদিও বিষয়টি ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে উঠবে।