জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলা খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রবিবার ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেনের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মোশাররফ হোসেন আইনজীবী বোরহান উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকার রমনা থানায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১২ কোটি ৫১ লাখ টাকা ও প্রায় ৩ কোটি টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
রবিবার দুর্নীতির অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রায় নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, “ওয়ান-ইলেভেনের সময় আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। মামলায় আমার সম্পদের সাথে স্ত্রীর সম্পদ ও দুই ছেলের সম্পদকে যোগ করে সম্পদ হিসেবে দেখিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার পক্ষে ১৬ বছরে রাষ্ট্রপক্ষ কোনও সাক্ষী বা কোনও প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে পারে নাই। সেই প্রক্রিয়ায় আজকে বিজ্ঞ আদালত এই রায় দিল।”
ন্যায়বিচার পেয়েছেন জানিয়ে ড. মোশাররফ বলেন, “যেহেতু সরকারের পক্ষ থেকে কোনও রকমের প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারে নাই, তার জন্য মামলা থেকে আমাকে খালাস দেওয়া হলো। আমি আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।”
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর কয়লাখনি দুর্নীতির মামলায় এবং ২৮ নভেম্বর অর্থ আত্মসাতের একটি মামলায় খালাস পান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।