১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় ১৬ বছর পর স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার হাই কোর্টের ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে এ বিষয়ে নিয়মিত আপিলের অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
এ আদেশের বিষয়ে সোমবার সাংবাদিকদের জানান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দিনকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি এদিন সরকারি ছুটিও ঘোষণা করা হয়।
এরপর ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এলে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটির সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে বাতিল করে।
মন্ত্রিসভার ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত তিন আইনজীবী আদালতে রিট আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে হাই কোর্ট জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন ও সরকারি ছুটি ঘোষণা করে রায় দেয়।
একই সঙ্গে রায়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হচ্ছিল।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করার আদেশ দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত ১৭ অক্টোবরের ওই আদেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১৫ আগস্ট ছাড়াও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস ও ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস পালন না করার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।