বিপিএলেও এমন চেষ্টা করা হয় টুর্নামেন্টের শুরুতে ক্রিকেট আমেজ তৈরি করার। কিন্তু এমন গোছানো হয়ে ওঠে না। এক মৌসুম আগে দলগুলো অনুশীলন শুরু করলেও ছিল না নিজ নিজ জার্সি।
গতবার সব দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে যাওয়া হয় ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে সাত বীরশ্রেষ্ঠের মুরালের সামনে ছবি তোলার জন্য। সেখানে সব দলের অধিনায়কের জার্সিতে ছিল না স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের নাম। বলা যায় দায়সারা ভাবে করা হয় উদ্বোধনী ফিটোসেশন।
বিপিএলে গোছানো যা একটু হয়েছে তা শুধু ফাইনালের আগে দুই অধিনায়কের ট্রফি ফটোসেশন। এর বাইরে বিপিএলের ইতিবাচক দিক ছিল কম। এবার সেই আক্ষেপ দূর করার আশ্বাস দিয়ে রেখেছে বিসিবি।
তার আগে বিপিএলকে বড় চ্যালেঞ্জ দিয়ে দিল এনসিএল টি-টোয়েন্টি। আল-আরাফাহ ব্যাংক এর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ওয়ালটনের সহযোগীতায় শুরু হতে যাওয়া এই নতুন টুর্নামেন্টের শুরু দিনগুলো বেশ গোছালো হয়েছে। মিরপুরে ট্রফির উদ্বোধণে আয়োজকদের দেওয়া একই জার্সি গায়ে উপস্থিত ছিলেন দলগুলোর প্রতিনিধি ক্রিকেটার।
আর আজ টুর্নামেন্ট শুরুর আগেরদিন ভেন্যু সিলেটে হয়ে গেল জার্সি উন্মোচন। প্রতি দলের পূর্ণাঙ্গ জার্সি গায়ে উপস্থিত ছিলেন আট দলের ক্রিকেটার। তাদের নিয়ে বেশ গোছানো আয়োজনে হয়ে গেল জার্সি উন্মোচন। এবার আনুষ্ঠানিকতা শেষ, কাল থেকে শুরু হবে মাঠের লড়াই।
এই আসরের জন্য ক্রিকেটারদের চাওয়া ছিল অনেক। বিপিএলের বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেটে আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট যুক্ত করা হলো অবশেষে। বিসিবির আশ্বাস এই আসর এখন থেকে প্রতিবার হবে।
এর আগে ২০১০ সালে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয়েছিল। এছাড়া ২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি এবং ২০২০ সালে হয় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০০৯ ও ২০১০ সালে চট্টগ্রামে পোর্ট সিটি ক্রিকেট লিগ নামে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয়েছিল।
এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টির জন্য সুখবর এই আসরের সবকটি ম্যাচ পেয়েছে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির মর্যাদা। ক্রিকেটাররা এ আসরে ভালো কিছু করলে তা ক্যারিয়ার পরিসংখ্যানে যোগ হবে। বিপিএলের ঠিক আগে যা ক্রিকেটারদের দারুণ অনুশীলনের সুযোগ।
জাতীয় লিগের সাত বিভাগীয় দল- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, খুলনা ও বরিশালের সঙ্গে অংশ নেবে ঢাকা মেট্রো। সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেটের দুই মাঠে। বিপিএলের মতো রাউন্ড রবিন পর্ব শেষে প্লে অফ ও দুটি কোয়ালিফায়ার শেষে হবে ফাইনাল।
১১ ডিসেম্বর প্রথম ম্যাচ থেকে শুরু করে ২৪ ডিসেম্বর ফাইনাল পর্যন্ত সবগুলো ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে শুধু সিলেট বিভাগের সব আল আরাফাহ ব্যাংকের শাখায়। টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ৩০০, ক্লাব হাউজ ১০০ ও পূর্ব গ্যালারি ৫০ টাকা।
প্রতিদিন সকাল ৯টা ও ৯টা ৩০ মিনিটে দুই মাঠে দুটি ম্যাচ হবে। দ্বিতীয় ম্যাচ হেবে যথাক্রমে ১টা ও ১টা ৩০ মিনিটে। শুধু খেলাই নয় দলগুলো অংশগ্রহণের ফি, ম্যাচ ফি বাদেও থাকছে টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটারের ২ লাখ টাকা ও ম্যাচ সেরার ২০ হাজার টাকা। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২০ লাখ টাকা ও রানার্সআপ দল পাবে ১০ লাখ টাকা।
এনসিএল টি-টোয়েন্টির ১৮টি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস। সবগুলো ম্যাচই সরাসরি দেখা যাবে টি স্পোর্টস অফিসিয়াল অ্যাপেও।