Beta
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

জীববৈচিত্র্য রক্ষা, জলবায়ু সহিষ্ণু নগর উন্নয়নে ১২০ কোটি টাকা দিচ্ছে জার্মানি

Bangladesh-Germany
[publishpress_authors_box]

সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ এবং জলবায়ু সহিষ্ণু নগর উন্নয়নে দুই প্রকল্পে ৯৫ লাখ ইউরো অনুদান দিচ্ছে জার্মানি। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১২০ কোটি টাকা। অনুদান সহযোগিতা হওয়ায় এই অর্থ আর ফেরত দিতে হবে না বাংলাদেশকে।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও জার্মানির পক্ষে জিআইজেডের কান্ট্রি ডিরেক্টর আন্দ্রেয়াস কুক সই করেন।

রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে এ চুক্তি হয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইআরডি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অনুদান সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা, টেকসই ব্যবস্থাপনা ও সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জলবায়ু সহিষ্ণু নগর উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। এ লক্ষ্য পূরণে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্প দুটির একটির নাম ‘স্ট্রেংদেনিং রিজিওনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং ফর সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট অব দ্যা সুন্দরবন অ্যান্ড রেস্টোরেশন অব কোস্টাল ইকোসিস্টেমস ইন বে অব বেঙ্গল’ (সুন্দর-বে)অপরটির নাম ‘ইনোভেশনস ফর ক্লাইমেট-স্মার্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট’।

ইআরডি জানিয়েছে, সুন্দর-বে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে ২৫ লাখ ইউরো। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে অধীনে বন বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

এই প্রকল্পে সুন্দরবন ও পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শক্তিশালী আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হবে। প্রকল্পর মূল কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে বন কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বনকর্মীদের জন্য যৌথ কর্মশালার আয়োজন ও নারীর নেতৃত্বে ব্যবসা পরিচালনা।

বাকি ৭০ লাখ ইউরো ব্যয় করা হবে ‘ইনোভেশনস ফর ক্লাইমেট স্মার্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পটির মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, চারঘাট (রাজশাহী) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলায় জলবায়ু সহনশীল নগর উন্নয়ন করা হবে। শহুরে অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টার উন্নতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরও ভালোভাবে মোকাবেলায় সহায়তা করা এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত