Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

জামিন পেলেন শমী কায়সার

অভিনেত্রী শমী কায়সার।
অভিনেত্রী শমী কায়সার।
[publishpress_authors_box]

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানায় করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিম্ন আদালত শমী কায়সারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে তিনি হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এই আবেদনে শুনানির পর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার তাকে জামিন দেয়।

আদালতে শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম হামিদুল মেসবাহ; আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার।

জামিন আদেশ নিয়ে শমীর আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ সাংবাদিকদের বলেন, “এই মামলায় হাই কোর্ট শমী কায়সারকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন। শমী কায়সার কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আছেন। অন্য কোনও মামলা না থাকলে তার কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই।”

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই ঢাকার আজমপুর হাবিবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেন মামলার বাদী ইশতিয়াক। সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে তিনি নিজেই গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এই মামলায় গত ৫ নভেম্বর ঢাকার উত্তরা থেকে অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ৬ নভেম্বর শমী কায়সারকে ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত।

রিমান্ড শেষে গত ৯ নভেম্বর ফের অদালতে তোলা হয় তাকে। সেদিন আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে শমী কায়সারকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ওই মামলায় শমী কায়সার ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ও অভিনেত্রী তারানা হালিম, লোকশিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শমী কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার এবং সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সারের সন্তান।

নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি চলতি বছর ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি।

তিনি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ছিলেন। ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালকও।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ১৪ অগাস্ট ই-ক্যাব সভাপতির পদ ছাড়েন শমী কায়সার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত