Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

সাগরে ট্রলার আটক, দিল্লি থেকে বাংলাদেশি খেদাওয়ের ডাক

মঙ্গলবার ভারতের দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে আরএসএস সমর্থকদের বিক্ষোভ।
মঙ্গলবার ভারতের দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে আরএসএস সমর্থকদের বিক্ষোভ।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক যে উত্তেজনা চলছে, এর মধ্যে দিল্লি থেকে কঠোর হওয়ার আওয়াজ দিচ্ছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। যদিও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকায় এসে সোমবার বলে গেছেন, জনগণকে কেন্দ্রে রেখে সম্পর্ক গড়তে চায় দিল্লি।

জনগণকে কেন্দ্রে রেখে সম্পর্ক গড়তে চায় দিল্লি, বার্তা বিক্রমের

তবে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে প্রতিশোধের উপায়ে হিসাবে মঙ্গলবার বিজেপি নেতারা বলেছে, তারা দিল্লিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায়।

এসব হুমকির মধ্যে সোমবার দেশের সমুদ্রসীমার শেষ প্রান্ত থেকে মাছ ধরার সময় ৭৯ নাবিকসহ দুটি ট্রলার আটক করে নিয়ে গেছে ভারতের কোস্টগার্ড। দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে আরএসএস সমর্থকরা। এছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলের ঘর ভাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িসহ বিভিন্ন শহরের হোটেল মালিকরা।

এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে টানাপোড়েনে হাজারো মানুষ জীবিকা হারানোর আশঙ্কায় আছেন বলে সতর্ক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সেন্ট্রাল কলকাতার ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরতে গিয়ে ৭৯ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ দুটি ট্রলার আটক করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।

বাংলাদেশি দুই ট্রলার নিয়ে গেল ভারতের কোস্টগার্ড

খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে সোমবার সকাল ১০টায় মাছ ধরার সময় ৭৯ নাবিকসহ দুটি ট্রলার জব্দ করে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। এ বিষয়টি নিশ্চিত করে মালিক্ষপক্ষ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই দুটি নৌযান হল এফভি লায়লা–২ ও এফবি মেঘনা–৫। এফভি লায়লা–২–এর মালিক প্রতিষ্ঠান এস আর ফিশিং। এফভি মেঘনা–৫ এর মালিক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড।

সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন প্রথম আলোকে বলেন, ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে এক নটিক্যাল মাইল ভেতরে ১০ দিন ধরে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত ছিল। সোমবার সকাল ১০টার দিকে ভারতীয় কোস্টগার্ডের একটি নৌযান এফভি মেঘনা–৫ ও এফভি লায়লা–২ ধরে নিয়ে যায়।

সুমন সেন বলেন, ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটকের পর তারা ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছেন। নাবিকরা সবাই ভালো আছে বলে বেতারবার্তায় কোম্পানির অন্য ট্রলারে জানিয়েছেন ট্রলারটির ক্যাপ্টেন রাহুল বিশ্বাস।

এ ঘটনার পর ট্রলার দুটির মালিকপক্ষ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ সময় নাবিকসহ ট্রলার দুটি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে মালিকপক্ষকে জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, “ট্রলার দুটি আমাদের সমুদ্রসীমার কাছেই মৎস্য আহরণে নিয়োজিত ছিল। সেখান থেকে ভারতীয় কোস্টগার্ড নিয়ে যায়। ঘটনার পর বাংলাদেশের কোস্টগার্ডসহ সরকারি সংস্থাগুলো ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ট্রলার দুটি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে আরএসএস সমর্থকদের বিক্ষোভ

হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) সমর্থনে সিভিল সোসাইটি অব দিল্লির ব্যানারে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে দিল্লির চাণক্যপুরী থানার তিন মূর্তি চক থেকে মিছিলটি শুরু হয়।

বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ জানান, মিছিলে তিন থেকে চার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। সেখানে বিভিন্ন বয়সী পুরুষদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নারীও যোগ দিয়েছেন। বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় সবার হাতেই প্ল্যাকার্ড দেখা যাচ্ছে। প্ল্যাকার্ডে- ‘বাংলা বাঁচাও, বাঙালি বাঁচাও, বাঁচাও সনাতন!’, ‘বাংলাদেশ, একাত্তর মনে করো, জুলুমবাজি বন্ধ করো! সেভ বাংলাদেশি হিন্দুজ’ এমন বেশ কিছু স্লোগান দেখা যাচ্ছে।

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের বাইরে বিক্ষোভ।

বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর দিল্লি

দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা ভারতের রাজধানীতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

দিল্লি সরকারের মুখ্য সচিব ও শহরের পুলিশ প্রধানের কাছে একটি চিঠিতে সাক্সেনা বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ও একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত ও নির্বাসনের জন্য আগামী ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষ অভিযানের দাবি করেছেন।

বাংলাদেশি পর্যটকদের সংকটে কলকাতায় ছোটখাটো খাবারের দোকান, হোটেল ব্যবসা হারিয়েছে।

বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ভারতের আরও হোটেল

বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলের ঘর ভাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরের হোটেল মালিকরা। তবে এখনও বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেননি শৈল শহর দার্জিলিংয়ের হোটেল মালিকরা।

এর আগে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদার হোটেল মালিকরা ঘোষণা করেছিলেন যে, বাংলাদেশি নাগরিকদের তারা ঘর দেবেন না। যদিও পরে আগরতলার হোটেল মালিকরা সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন।

শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকার ১৮০টি হোটেল মালিকদের সংগঠন গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। শিলিগুড়ি শহর ও আশপাশের অঞ্চলের হোটেল মালিকদের ওই সংগঠনের যুগ্ম সচিব উজ্জ্বল ঘোষ বিবিসিকে বলেছেন, “ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক যে সংঘাতের আবহাওয়া চলছে, বিশেষত সেদেশে ভারতের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের একাংশের উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে বাংলাদেশের নাগরিকদের আমাদের কোনও হোটেলে থাকতে দেওয়া হবে না।”

উজ্জ্বল ঘোষ আরও বলেন, “শিলিগুড়ি ছাড়াও আমরা কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের হোটেল মালিকদের সংগঠনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। তারাও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে এই ব্যাপারে। আর দার্জিলিংয়ের হোটেল মালিকদের সংগঠনও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে দার্জিলিংয়ের হোটেল মালিকরা এখনই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না বলেই আমাদের জানিয়েছেন।”

পর্যটন মৌসুমে দার্জিলিংয়ে প্রায় তিরিশ হাজার মতো বাংলাদেশি পর্যটক যান বলে পর্যটন শিল্পের সূত্রগুলি বিবিসিকে জানিয়েছে। শিলিগুড়ি ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার ফলে বাংলাদেশি পর্যটকরা বেশি সংখ্যায় আসছিলেন।

এদের একটা বড় অংশ শৈল শহরগুলোতে যাওয়ার আগে শিলিগুড়ির হোটেলে ঘর নেন এক বা দুদিনের জন্য। আবার শিলিগুড়ি বৃহৎ ব্যবসায়িক কেন্দ্রও, তাই বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও শিলিগুড়িতে কাজে যান।

তবে শিলিগুড়ি এলাকার হোটেল মালিকরা বাংলাদেশিদের ঘর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তার প্রভাব খুব বেশি পড়ার কথা নয়, কারণ এমনিতেই এখন ভারতীয় ভিসা দেওয়ার কড়াকড়ি থাকায় ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশিরা ভারতে প্রায় যাচ্ছেনই না।

বাংলাদেশের সঙ্গে টানাপোড়েনে কলকাতার ব্যবসায় মন্দা 

বাংলাদেশ সংকটের কারণে হাজার হাজার মানুষ জীবিকা হারানোর আশঙ্কায় আছেন বলে সতর্ক করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সেন্ট্রাল কলকাতার ব্যবসায়ীরা।

তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের চলমান টানাপোড়েনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এই ব্যবসায়ীরা বড় অঙ্কের ঋণ নিয়ে অথবা সম্পত্তি বন্ধক রেখে সেন্ট্রাল কলকাতায় ব্যবসা শুরু করেছেন।

ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক বৈঠকে বেশ কয়েকজন সদস্য আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা এবং দুদেশের মধ্যে চলা সম্পর্কের সংকটে অনেক ব্যবসায়ী স্থায়ীভাবে ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হবেন।

ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, মার্কুইস স্ট্রিট ও আশপাশের এলাকায় প্রায় ৫ হাজার হোটেল ও গেস্টহাউস রয়েছে। এখন ওইসব হোটেল-গেস্টহাউসে ঘর ভাড়া নেওয়ার হার ৫ শতাংশেরও কম বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকরা।

চৌরঙ্গি লেনের একটি গেস্টহাউসের মালিক বৈঠকে বলেন, ৩০ লাখ রুপি দিয়ে তিনি ওই সম্পত্তিটি লিজ নিয়েছেন। মাসে ভাড়া দিতে হয় ১.১৭ লাখ রুপি। বাংলাদেশি অতিথি না আসায় তার দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানান তিনি।

তার মতো একই অবস্থা আরও অনেক ব্যবসায়ীর।

অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী খান বলেন, “বড় হোটেলগুলো হয়তো কিছু সময়ের জন্য এই মন্দা সহ্য করতে পারবে। কিন্তু এমন অনেক ব্যবসায়ী আছেন ছোট গেস্টহাউস লিজ নিয়েছেন, যেখানে কক্ষ রয়েছে মাত্র তিন বা চারটি। তারা স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখেছেন, জমি বিক্রি করেছেন অথবা চড়া সুদে ঋণ নিয়েছেন। তারা আর এই ক্রমবর্ধমান ক্ষতির বোঝা টানতে পারছেন না।”

হোটেল মালিক, মুদ্রা বিনিময়কারী, ট্রাভেল অপারেটর, রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ও অন্যান্য ব্যবসায়ী মিলিয়ে এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসংখ্যা ১৫০-এর বেশি।

আরেক ব্যবসায়ী সংগঠন মার্কুইস স্ট্রিট ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ওয়েলফেয়ার সোসাইটিও শনিবার একই ধরনের আরেকটি বৈঠক করে। বৈঠকে অংশ নেওয়া সবাই ভারত সরকারকে ভিসা সংকট সমাধান এবং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ‘মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক’ আগের মতো বজায় রাখতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

হায়দার আলী খান বলেন, তাদের অ্যাসোসিয়েশনসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো যৌথভাবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে এই বিষয়টি ‘সর্বোচ্চ গুরুত্বের’ সঙ্গে দেখার জন্য লিখিতভাবে জানাবে। কারণ এর সঙ্গে বহু মানুষের ‘জীবিকা জড়িয়ে আছে’।

ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অভ ইন্ডিয়ার জাতীয় কমিটির সদস্য এবং পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধি অনিল পাঞ্জাবি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, “আমি দুই দেশের সীমান্তে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছি। সীমান্তের উভয় পাশেই ব্যবসা গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের একত্রিত হয়ে সমাধান বের করতে হবে। সরকারকে ভিসা সমস্যার সমাধান করতে হবে।”

এখন কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে ফ্লাইট চলাচল কমে গেছে। পাশাপাশি বাস অপারেটররাও তাদের পরিষেবার সীমিত করে দিয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত এক পরিবহন অপারেটর বলেন, যাত্রীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় তিনি সীমান্তের দুপাশে তার কর্মীদের সম্পূর্ণ বেতন দিতে পারছেন না।

কিড স্ট্রিটের বাসিন্দা, চিকিৎসক ও সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিম বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি ছিল ১৩.৮ বিলিয়ন ডলার। তবে এখানে বাণিজ্য একমুখী নয়। মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশে উৎপাদিত তুলা মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মিলগুলোতে প্রক্রিয়াজাত হয়। এটি কাপড়ে রূপান্তরিত হয়ে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে যায়। সেই কাপড় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত হয়। তারপর প্রস্তুত পণ্য সারা বিশ্বে বিক্রি হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাহিত অর্থের একটি বড় অংশ ভারতেও ব্যয় হয়।’

সিকিম ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্টের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে রাজ্যটিতে বাংলাদেশি পর্যটক গিয়েছিল ৪০ হাজার ৫৯৭ জন। ২০২৪ সালে এ সংখ্যা ২৭ হাজার ১২৬ জন। অর্থাৎ সিকিমে বাংলাদেশি পর্যটক ক্রমেই বাড়ছিল।

নর্থ সিকিম চলতি মাসে পর্যটকদের জন্য ফের খুলে দেওয়া হয়েছে। এলাকাটিতে পর্যটকের প্রবাহে অনেক বেড়েছে। নর্থ সিকিমের আন্তর্জাতিক পর্যটকের প্রায় ৫০ শতাংশই বাংলাদেশি।

এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর দেওয়া সাময়িক নিষেধাজ্ঞায় পর্যটন-নির্ভর সিকিমের অর্থনীতিও বড় ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত