Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

আগরতলা অভিমুখে লং মার্চে বিএনপির ৩ সংগঠন

বুধবার ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লং মার্চের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপির তিন সংগঠন। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
বুধবার ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লং মার্চের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপির তিন সংগঠন। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

ভারতীয় হাই কমিশনে স্মারকলিপি পেশের পর এবার ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে ‘লং মার্চের’ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন– যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৯টায় ঢাকার নয় পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই লং মার্চ শুরু হয়।

একই ইস্যুতে এর আগে গত রবিবার ঢাকায় পদযাত্রা করে ভারতীয় হাই কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছিল বিএনপির এই তিন সহযোগী সংগঠন। সেদিন ঢাকার বারিধারায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের পদযাত্রা কর্মসূচি রামপুরা ব্রিজের কাছে পুলিশ আটকে দিলে যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে।

বুধবার সকালে ‘লং মার্চের’ গাড়িবহর ঢাকা থেকে বের হওয়ার পর সড়কে বিএনপি ও এর তিন সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা যায়। তারা হাত নেড়ে, ফুল ছিটিয়ে গাড়িবহরকে স্বাগত জানায়।

বিভিন্ন স্লোগান লেখা ফেস্টুনসহ জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে নেতাকর্মীদের এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

এদিকে, যাওয়ার পথে ভৈরব মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সভাপতিত্ব করবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না। আখাউড়ায় সমাবেশের মধ্যে দিয়ে লং মার্চ শেষ হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সভাপতিত্ব করবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী।

এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি, এই স্বাধীনতা আমরা বিক্রি করে দেব? আমরা পিন্ডির কাছে থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, এটা দিল্লির কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করব– এই রক্ত আমাদের নেই।”

সমাবেশে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

ভারতের শাসকগোষ্ঠীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আজকে দিল্লির যারা সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী, তারা মনে রেখো– তোমরা একজন ভয়ঙ্কর রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমর্থন দিয়েছিলে।

“আজকে ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত। অথচ ভারত গণতান্ত্রিক দেশ।”

ভারত নিজে গণতান্ত্রিক দেশ হলেও বাংলাদেশ জনগণের কথায় চলুক, তা চায় না– এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, “তারা চায় না ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলংকার লোকরাও নিজের কথায় চলুক। দিল্লির কথায় চলতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের রক্তের যে তেজ, আত্মশক্তি, বীরত্ব– এটা দিল্লির শাসকরা বুঝতে পারেনি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত