টি-টোয়েন্টির খেলায় ডটবলের কদর নেই। খুব করে হলে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলটা দেখে খেলা যায়। এরপর থেকে ব্যাটারের কাছে চার-ছক্কার চাহিদা দলের। জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতেও প্রতি দল তার ব্যাটারের কাছে সেই দাবি রাখে।
গত জুনে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলার পর প্রথম ব্যাট হাতে নামা তামিম ইকবালের কাছে একই দাবি ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের। অনেকদিন পর খেলতে নামার অনভ্যস্ততায় মাত্র ১৩ রান করতে পেরেছেন তামিম। ১০ বল খেলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৩০ স্ট্রাইকরেটে ১৩ রান করে সরাসরি বোল্ড হন বাংলাদেশ ওপেনার।
বল নষ্ট না করলেও বড় রান করতে ব্যর্থ হন তামিম। তার দলও হেরেছে। অবশ্য তামিম না পারলেও ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় রান করেছেন হালের তামিম। যুব দলের হয়ে এশিয়া কাপ জেতা আজিজুল হাকিম তামিম খুলনার হয়ে করেছেন ৩১ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৩ রান। তার এই রানের জবাবে রাজশাহীর হাবিবুর রহমান সোহান বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন। দল জেতানো ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রান।
প্রথম দিন জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে হওয়া চার ম্যাচে সবচেয়ে কম রান হয়েছে চট্টগ্রামের ম্যাচে। আগে ব্যাট করে তামিম ইকবালরা ৯ উইকেটে মাত্র ১৩২ রান তুলেছে। জবাবে রংপুর ৫ উইকেটে ১৩৪ রান করে ম্যাচ জিতে যায় ১৭ ওভারের মধ্যেই।
অপর মাঠে স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে পথম ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি করা আজিজুল তামিমের ব্যিাটে ৭ উইকেটে ১৭২ রান করে খুলনা। ইনজুরি থেকে ফিরে দীর্ঘদিন পর অলরাউন্ড পারফরম করেছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ১৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের পর বল হাতে ৩২ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
হাবিবুর রহমান সোহানের ঝড়ো ইনিংসে খুলনার রান তাড়া করার পথেই ছিল রাজশাহী। ১৭.২ ওভারে তারা ৩ উইকেটে ১৫৩ রান করে ফেলে। পরে আলোর স্বল্পতার কারণে বৃষ্টি আইনের মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। উইকেট হাতে থাকায় নির্ধারিত ওভারে ১১ রান বেশি ছিল রাজশাহীর।