Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

জরায়ুমুখ টিকা পেল ৫৬ লাখ কিশোরী

hpv-vaccination-030224-04
[publishpress_authors_box]

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে দেশের ৫৬ লাখ কিশোরীকে এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকা দেওয়া হয়েছে, শতাংশের হিসাবে যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৩ শতাংশ।

টিকা পাওয়া এসব কিশোরীর বয়স ১০ থেকে ১৪ বছর, যাদের মধ্যে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কিশোরীরাও রয়েছে।

বুধবার এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভি, ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এসব তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট ও রংপুর বিভাগে এইচপিভি টিকা কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। এবার টিকা সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ লাখ; দেওয়া হয়েছে ৫৬ লাখকে।

যা কিনা লক্ষ্যমাত্রার ৯৩ শতাংশ; পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং স্কুলের বাইরে থাকা ১০ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীকে বিনামূল্যে এ টিকা দেওয়া হয়েছে।

একটি সাধারণ ভাইরাস (এইচপিভি) থেকে নারীরা জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। সারা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও নারীর মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ এই ক্যান্সার। প্রতিবছর দেশে পাঁচ হাজারের বেশি নারীর মৃত্যু হয় এ রোগে।

তবে এই ক্যান্সার ‘প্রতিরোধযোগ্য’ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এজন্য কিশোরী বয়সেই এইচপিভি টিকা নিতে হবে।

নারীর জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। গবেষণা বলছে, যারা এই টিকা নিয়েছেন তাদের জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি ৯০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

দেশের ৯৩ শতাংশ কিশোরীকে এই টিকা দেওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগকে ধন্যবাদ জানান ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ারস। তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে এই টিকা রুটিন টিকাদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। জরায়ুমুখ ক্যান্সার নির্মূলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. আহমেদ জামশীদ মোহামেদ বলেন, এই মাইলফলক অর্জন জরায়ুমুখ ক্যান্সারের মতো প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করার একটি ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতি।

গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের ইউরো এশিয়া-প্যাসিফিকের প্রধান স্যাম মুলার বলেন, “প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ৫৬ লাখ কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দিয়ে আমরা শুধু তাদের জীবন রক্ষা করছি না বরং একটি পুরো প্রজন্মের বিকাশের জন্য তাদের ক্ষমতায়নের দ্বার উন্মুক্ত করেছি।”

গত ৭ অক্টোবর এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। শেষ হয় ১১ ডিসেম্বর। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ক্যাম্পেইনের প্রথম পর্যায়ে ঢাকায় ১৫ লাখেরও বেশি কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত