ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে হার মানলেন একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা দিকে ঢাকার ইমপালস হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালটির জনসংযোগ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত পাপিয়া সারোয়ার কয়েকদিন ধরেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বুধবার পর্যন্ত তার অবস্থা তুলনামূলক স্থিতিশীল ছিল, চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণ করছিলেন।
তবে সকালে হঠাৎ করেই মারা যান তিনি। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাপিয়া সারোয়ারের মরদেহ হাসপাতালেই ছিল বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
পাপিয়া সারোয়ারের স্বামীর নাম সারওয়ার আলম, তিনি শিল্পীর সঙ্গেই ছিলেন। এছাড়া মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে দেশের পথে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্রবাসী দুই মেয়ে জারা সারওয়ার ও জিশান সারওয়ার।
ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্র অনুরাগী পাপিয়া সারোয়ার ক্লাস সিক্সে থাকতে ছায়ানটে ভর্তি হন। নবম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানে ছিলেন। তারপরে ধানমন্ডিতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি গান চর্চা করেন।
‘নাই টেলিফোন নাইরে পিওন’ এর গায়িকা পাপিয়া সারোয়ার গুরুতর অসুস্থ
বরিশালের মেয়ে পাপিয়া সারোয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে স্নাতক করার সুযোগ পান।
২০১৩ সালে পাপিয়া সারোয়ারকে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত করে । ২০১৫ সালের বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন।
তার গাওয়া অনেক গানের মধ্যে ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিওন’ প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে। সারাজীবন রবীন্দ্র সংগীত গাইলেও এই গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির ও সুরকার মনসুর আলীর লেখা এই গানটি যেন তার পরিচয়ের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে।