জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা সংস্থানের বিষয় পর্যালোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব সৈয়দ আলী বিন হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২০১৫ সালে নতুন পে স্কেল ঘোষণার পর পাঁচ বছর পর আবার পে স্কেল হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। সরকারি কর্মচারীরা নতুন পে স্কেল ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন। গত বছরের জুলাই থেকে ‘বিশেষ সুবিধা’ হিসেবে মূল বেতনের পাঁচ শতাংশ করে অতিরিক্ত বেতন পাচ্ছেন তারা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি চাকরিজীবী প্রায় ১৪ লাখ। তবে বিভিন্ন কর্পোরেশন এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকসহ এ সংখ্যা প্রায় ২২ লাখ।
আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের কর্মে নিয়োজিত জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে মহার্ঘ ভাতার সংস্থানের বিষয়টি পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে নির্দেশক্রমে এ কমিটি গঠন করা হলো।
কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, কমিটি মহার্ঘ ভাতার প্রযোজ্যতা ও প্রাপ্যতার বিষয় পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ দাখিল করবে। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবে।