Beta
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

স্বস্তি ফিরছে নিত্যপণ্যের বাজারে

ss-Bazar-potato-200624
[publishpress_authors_box]

বাজারে সরবরাহ বেড়েছে নতুন আলুর; উঠতে শুরু করেছে নতুন পেঁয়াজ। ফলে এ দুই নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। নতুন ছোট ছোট আলু পুরান আলুর চেয়ে কম দামে মিলছে। শিমসহ শীতের অন্যান্য সবজির সরবরাহ বাড়ায় দামও অনেকটা হাতের নাগালে এসেছে। তবে টমেটোর দাম এখনও চড়া। বাজারে আসতে শুরু করেছে নতুন দরের বোতলজাত সয়াবিন তেল। চালের দামও রয়েছে কিছুটা নিম্নমুখী। সব মিলে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের বাজারে।

শুক্রবার রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজার, বসুন্ধরা সায়েদ আলী সুপার মার্কেট সংলগ্ন কাঁচাবাজার, নর্দা মোড়ল কাঁচাবাজার, রামপুরা কাঁচাবাজার, মিরপুর ১১ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। 

ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কয়েকটি পণ্য আমদানিতে করছাড় দেওয়ায় আমদানি বেড়েছে। কিন্তু এর মধ্যে শীতের সবজি বিশেষ করে আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়তে থাকায় আমদানি করা পণ্যের দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

বাজারে একেবারে ছোট আকারের আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। মাঝারি আকারের আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। পুরোনো আলু পড়ছে ৮০ টাকা কেজি। ফলে অনেকেই নতুন আলু কিনছেন। পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে কম। 

মিরপুর কাঁচাবাজারে ছোট আকারের নতুন আলু কিনছিলেন আনোয়ার সাদাত।

সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “পুরোনো আলুর থেকে কিছুটা কম দামে একটু ছোট আকারের নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে। এই আলু শীতের সবজি দিয়ে তরকারি খেতে ভালো স্বাদ হয়। তাছাড়া ভর্তাও খাওয়া যায়, খোসাসহ।”

নতুন পেঁয়াজ ওঠায় এই পণ্যটির দামও কমেছে। গত দেড়-দুই মাসের বেশি সময় ধরে ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি ছিল ১২০-১৩০ টাকা। এখন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমিয়ে বিক্রির চেষ্টা করছেন বিক্রেতারা।

এখন ভালো মানের আমদানি করা (গড় আকৃতির) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে। আমদানি করা হাইব্রিড পেঁয়াজের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের সবজির কেজি পড়ছে ৪০-৫০ টাকার মধ্যে। শিম, মুলা, শালগম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে। দেশি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজি। কাঁচা টমেটোর কেজি পড়ছে ৫০-৬০ টাকা।   

ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা পিস। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা পিস। 

লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর পর বড় বড় বাজারে সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের। ছোট বাজারে এ তেলের সরবরাহ কিছুটা কম দেখা গেছে।

শুক্রবার পর্যন্ত বেশিরভাগ মুদি দোকানে তেলের অপর্যাপ্ততা দেখা যায়।

নর্দার বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোরের মালিক আরিফুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে নতুন দামের তেল সরবরাহ করেনি কোম্পানিগুলো। এ কারণে খোলা তেলই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে অনেকেই বোতল না নিয়ে আসায় খালি হাতে চলে যান।

গত সোমবার বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খোলা সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম নির্ধারণ করা হয় ১৫৭ টাকা।

এর আগে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ছিল ১৬৭ টাকা ও খোলা তেলের লিটার ১৪৯ টাকা। গত এপ্রিলে ওই দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

তবে এর মধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লেও দেশে মূল্য সমন্বয় করা হয়নি। একারণে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমে আসে। 

চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানালেন বিক্রেতারা। বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মাঝারি দানার চাল (বিআর-২৮ ও পায়জাম)। শুক্রবার এ ধরনের চালের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৭-৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৬৫ টাকা।

গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৩-৫ টাকা কমে মোটা চাল (চায়না ইরি ও গুটি স্বর্ণা) বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়। সরু চালের (মিনিকেট) কেজি পড়ছে ৬৮-৭০ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে এ ধরনের চাল কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হয়েছে ৭০-৭৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের নোয়াখালী রাইস এজেন্সির মালিক মো. শাওন বলেন, বাজারে নতুন চাল ঢোকায় দাম কমছে। সামনে আরও ধান-চাল সংগ্রহ হবে। তখন দাম আরেকটু কমে আসবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত