সিরিজ বাঁচাতে জিততেই হত পাকিস্তানকে। সেঞ্চুরিয়নে বাঁচা-মরার সেই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে ২০৬ রানের বড় স্কোরও পায় মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। তবে রিজা হেনড্রিকস ঝড়ে যথেষ্ট হয়নি সেটাও।
৬৩ বলে ৭ বাউন্ডারি ১০ ছক্কায় ১১৭ রানের ইনিংস খেলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন হেনড্রিকস। ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে ম্যাচ সেরা হন তিনি। আর ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-০’তে নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা।
তৃতীয় উইকেটে রসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গে ৮৩ বল ১৫৭ রানের জুটিতে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন হেনড্রিকস। ফন ডার ডাসেন অপরাজিত ছিলেন ৩৮ বলে ৬৬ রানে। টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় উইকেটে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা জুটি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১২ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রিচার্ড লেভি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের ১৩৩।
এর আগে সাইম আইয়ুবের ৫৭ বলে অপরাজিত ৯৮, বাবর আজমের ২০ বলে ৩১ আর ইরফান খানের ১৬ বলে ৩০-এ ২০৬ রানের পুঁজি পেয়েছিল পাকিস্তান। শেষ ৯ বলে স্ট্রাইক না পাওয়ায় সেঞ্চুরি করা হয়নি সাইমের। রান উৎসবের ম্যাচে ৪ ওভারে কেবল ২১ রান খরচায় ২ উইকেট নেন ডায়ান গ্যালিয়েম।
এই ম্যাচে ক্রিস গেইলের একটা রেকর্ড ভেঙেছেন বাবর আজম। টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ১১ হাজার রানের মাইলফলকে পা রেখেছেন তিনি। এজন্য বাবর খেলেছেন ২৯৮ ইনিংস। ৩১৪ ইনিংসে আগের রেকর্ডটা ছিল গেইলের। এছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার ৩৩০ আর বিরাট কোহলি ৩৩৭ ইনিংসে করেছেন ১১ হাজার টি-টোয়েন্টি রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০৬/৫ (সাইম ৯৮*, বাবর ৩১, ইরফান ৩০, আব্বাস ১১*; গ্যালিয়েম ২/২১, বার্টম্যান ২/৫১)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯.৩ ওভারে ২১০/৩ (হেনড্রিকস ১১৭, ফন ডার ডাসেন ৬৬*, ক্লসেন ৮*; জাহানদাদ ২/৪০, আব্বাস ১/৪৬)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : রিজা হেনড্রিকস