অবশেষে জট খুলল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। ইন্ডিয়া টুডে, স্পোর্টসতাক ও ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, কয়েকটা শর্তে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে রাজি হয়েছে পিসিবি। হাইব্রিড মডেলে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসিও।
আইসিসি সভাপতি জয় শাহ এ নিয়ে দুই বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করার কথা আজ (শনিবার)। সেখানেই সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে কোনোভাবে পাকিস্তানে যেতে রাজি হচ্ছিল না ভারত। আর পিসিবিও ছিল নাছোড়বান্দা। আইসিসির কয়েকটা প্রস্তাবও মানেনি দুই দেশের বোর্ড।
শেষ পর্যন্ত সুর নরম করেছে দুই বোর্ডই। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলে আয়োজনের ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। আয়োজক স্বত্ব পিসিবির হাতে থাকলেও ম্যাচ হবে পাকিস্তান ও দুবাইয়ে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচগুলো হবে চারটি ভেন্যুতে। এর তিনটি পাকিস্তানে আর ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলবে দুবাইয়ে। ভারত যদি সেমিফাইনাল বা ফাইনাল নিশ্চিত করে তাহলে সেই ম্যাচও হবে দুবাইয়ে। এখন শুধু সূচি ঘোষণার অপেক্ষা, যেটা হতে পারে আজকের ভার্চ্যুয়াল সভার পর।
হাইব্রিড মডেলের প্রধান শর্ত
১. ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ পাকিস্তান খেলবে শ্রীলঙ্কায়।
২. হাইব্রিড মডেলে সম্মতির জন্য কোনও ক্ষতিপূরণ পাবে না পিসিবি।
৩. ২০২৭ সালের পর পাকিস্তানে আইসিসির একটি মেয়েদের টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে পিসিবি।
এই হাইব্রিড মডেলের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাবে না পাকিস্তান। এর বদলে ২০২৭ সালের পর আইসিসির মেয়েদের একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে তারা।
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান গ্রুপ পর্ব-এর ম্যাচগুলো ভারতের বদলে খেলবে শ্রীলঙ্কায়। এমনকি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটাও তারা খেলবে শ্রীলঙ্কায়।
ক্রিকবাজ জানিয়েছিল, ৫০ ওভারের পরিবর্তে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হতে পারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। তবে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা কম।