সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে হিন্দুদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, আলীম হোসেন (১৯), সুলতান আহম্মেদ রাজু (২০), ইমরান হোসেন (৩১) ও শাজাহান হোসেন (২০)। এরা চার জনই দোয়রাবাজার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো.জাহিদুল হক সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “গত ৩ ডিসেম্বর দোয়ারাবাজার থানার মংলারগাঁও গ্রামে এক হিন্দু যুবকের দেওয়া ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় ওই যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা চালায় ও ভাচুর করে।
“এই ঘটনায় শনিবার পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। এতে এজাহারে ১২ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ১৭০ জনকে রাখা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত চার জনও এই মামলারই আসামি।”
যে যুবকের বক্তব্য থেকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে তার নাম আকাশ দাস (২০)। ঘটনার দিন প্রথমে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ, পরে তার বিরুদ্ধে করা হয় সাইবার সিকিউরিটি আইনে মামলা। সেই মামলায় এখন তিনি সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দী।
৩ ডিসেম্বর রাতে মোগলগাঁও গ্রাম ও দোয়ারাবাজার সদরে বাজার এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাঙচুরেরও খবর আসে।
পরে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সেদিন গভীর রাতেেই জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে দায়ী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন।
পরে গত শনিবার জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিদল মংলারগাঁও পরিদর্শন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানায়।