Beta
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে উপদেষ্টার বক্তব্য অহংবোধের অভিব্যক্তি : রিজভী

ঢাকার মোহাম্মদপুরে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রবিবার বক্তব্য রাখেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ঢাকার মোহাম্মদপুরে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রবিবার বক্তব্য রাখেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
[publishpress_authors_box]

দেশের রাজনৈতিক দলগুলো গত ৫৩ বছর রাষ্ট্র সংস্কার করেনি কেন—সম্প্রতি পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের এ ধরনের প্রশ্নকে তার ‘অহংবোধের অভিব্যক্তি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

উপদেষ্টার নাম না নিয়ে তিনি বলেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের এরশাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থান, চব্বিশের হাসিনাবিরোধী গণআন্দোলন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বেই হয়েছে; সুশীল সমাজের কোনও ভূমিকা ছিল না।

রবিবার দুপুরে ঢাকার মোহাম্মদপুরে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল মহানগর উত্তরের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচিত সরকারের অধীনে রাজনৈতিক দলগুলোর রাষ্ট্রসংস্কারের দাবি তোলার পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছিলেন, “আজকে তারা বলছেন, সংস্কার তারাই সবচেয়ে ভালো করতে পারবেন। তাহলে তারা ৫৩ বছর কেন করেন নাই?

“কেন আজ আমাদের দায়িত্ব নেওয়া লাগল? উড ইউ প্লিজ অ্যানসার? তাদের ছাড়া সমস্যার সমাধান হবে না- এটা ঠিক কথা, এটাই তো হওয়া উচিত।”

পরিবেশ উপদেষ্টার এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, “একজন উপদেষ্টা বলেছেন, ৫০ বছরে রাজনৈতিক দলগুলো কিছুই করতে পারেনি, আমরা করছি। তাহলে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ আর ২৪-এর সফলতা কে এনেছে?

“এগুলো কি সুশীল সমাজের অবদান? হ্যাঁ, তারা সমর্থন করেছে। ৩০০ শতাব্দী থেকে ভোটপ্রথা চালু হয়েছে। ৮০০ বছর আগে ইংল্যান্ডে অধিকারের আন্দোলন শুরু হয়েছে। উন্নত দেশেও রাষ্ট্রসংস্কার কখনও রাজনীতিকদের অবসর দিয়ে হয়নি।”

রাজনৈতিক দলগুলোর অতীত ভূমিকা নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার তোলা প্রশ্নকে তার ‘অহংবোধের অভিব্যক্তি’ হিসেবে দেখেছেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।  

তিনি বলেন, “এ ধরনের কথা বললে মানুষ অন্য কিছু ভাববে। ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিনের পুনরুত্থান হবে।

“একটি রাষ্ট্রকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাওয়ার যে সংস্কার, তা মনীষীরা চিন্তা করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলো সেটা বাস্তবায়ন করেছে। প্রকৃত সংস্কার করলে গণতন্ত্রের যে অপরিহার্য অংশ- নির্বাচন, আইনের শাসন, বিচার বিভাগ-এগুলোর সংস্কারে বিলম্ব হওয়ার কথা নয়।”

রিজভী বলেন, “অগ্রগতি যে একেবারে হয়নি, আমরা তা বলছি না। আমরা এখন বক্তৃতা করে বাসায় যেতে পারছি। আমাদের এখন পুলিশ ধরছে না। গোয়েন্দা পুলিশ খুঁজছে না।

“৫ আগস্টের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছে। আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। আবার অনেক কাজের সমালোচনাও করছি। সমালোচনার মানে এই নয় যে, আমরা এ সরকারের বিরোধিতা করছি, পতন দাবি করছি।”

এসময় নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরেন রিজভী।

তিনি বলেন, “সরকার এখনও পতিত স্বৈরশাসকের বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। তাদের চিহ্নিত করে মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতায় আনা দরকার। রাস্তায় রাস্তায় এখনও গাড়িতে চাঁদাবাজি চলছে। বিএনপি এসব বন্ধের চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু করবে না। এর দায়িত্ব সরকারের।

“সরকার এসব প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও উদ্যম কম। জনগণ যদি আগের চেয়ে স্বস্তিতে থাকতে না পারে, তাহলে হতাশ হবে।” 

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত