তিমুর-লেস্তের (পূর্ব তিমুর) প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের তার দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক এবং প্রতিনিধিদলের আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষ থেকে এই আহ্বান আসে বলে জানিয়েছে বাসস।
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রামোস-হোর্তা বলেন, “আমি মনে করি আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে পারি এবং বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে তিমুর-লেস্তে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। আগামী বছর আমরা আসিয়ানের সদস্য হব এবং সেইসাথে ৭০০ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর অঞ্চলের অংশ হয়ে উঠব।’
তিনি বলেন, আগামী বছর তিমুর-লেস্তে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি জিডিপি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হবে।
তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ তার দেশের উন্নয়নে অংশীদার হবে।
রামোস-হোর্তা বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত নেতা, যিনি এখনও সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে নেলসন ম্যান্ডেলা, জন এফ কেনেডি, মহাত্মা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো ও চে গুয়েভারের মতো বিশ্ব নেতাদের সাথে তুলনা করেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, খুবই ভাগ্যবান যে এমন একজন নিরহঙ্কার ও বিনয়ী মানুষ দেশের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি আপনাদের তরুণদের সাথে কাজ করছেন দেশের পরিববর্তনের জন্য।”
বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তের জনগণের ভোগান্তির ইতিহাস প্রায় একই রকম মন্তব্য করে তিমোর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ দৃঢ়চেতা, পরিশ্রমী, সৃজনশীল ও সফল।”
অধ্যাপক ইউনূসকে তার ভাই, বন্ধু ও পরামর্শক হিসেবে উল্লেখ করে রামোস-হোর্তা তাকে আতিথেয়তা দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং এখানে এসে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন বলে জানান।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট এবং তার সফরসঙ্গীরা শনিবার রাতে ঢাকায় আসেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান এবং সেখানে রামোস-হোর্তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।