যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া এই মামলার আরেক আসামি ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমকে একই সময় পর্যন্ত রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি বিএনপি কর্মী মকবুল হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার সকালে শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম শরীফুর রহমানের আদালত এসব আদেশ দেয়।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক ফেরদৌস জামান সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
এসময় আসামিদের পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এর বিরোধিতা করেন।
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। তাদের এই কর্মসূচি পণ্ড করার লক্ষ্যে একই দিন আওয়ামী লীগও পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশে পুলিশের সহায়তায় সেদিন মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এতে যুবদল নেতা শামীম নিহত হন।
এ ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় মামলা করা হয়।
কামরুল ইসলাম ও সোলায়মান সেলিমের পাশাপাশি বুধবার মকবুল হোসেন হত্যা মামলায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত নজিবুর রহমানের তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
মকবুল হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর একদফা দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এর তিনদিন আগে ৭ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশের হারুন অর রশীদ, মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেখানে ভাঙচুরের পাশাপাশি কার্যালয়ের পাশে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়।
এতে মকবুল হোসেন নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাহফুজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।