রাজধানীর উপকণ্ঠে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ।
ইজতেমা ময়দানে মঙ্গলবার রাতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির পর বুধবার দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানানো হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন বিভাগের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বলা হয়, “সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বুধবার বিকেল ২টা থেকে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।”
এর আগ বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলে নেওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার গভীর রাতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত দুইজনের প্রাণহানি হয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাওলানা সাদের অনুসারীরা আগামী শুক্রবার থেকে ইজতেমা ময়দানে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করতে চাইলেও তাদের এই ইজতেমা করতে দিতে রাজি নন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা। এ কারণে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা আগে থেকেই ময়দান দখলে নিয়ে রেখেছিলেন।
এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানে ঢুকতে গেলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টঙ্গীতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
তাবলিগ জামাতের দুইপক্ষের বিরোধের কারণে গত কয়েকবছর ধরেই দুই পর্বে হয়ে আসছে টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন।
২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমাও দুই পর্বে আয়োজনের সূচি ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, প্রথম পর্ব আগামী ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ২ ফেব্রুয়ারি। আর দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা হবে ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।