ওদিকে লিটন দাস রান করতে পারছেন না, ঘরোয়া ক্রিকেটে রান নেই নাজমুল হোসেন শান্তর। জাতীয় দলের টপঅর্ডারের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারের এমন অবস্থায় স্বস্তির শ্বাস ছাড়ছে জাতীয় দল! ভাগ্যিস সামনে ফেব্রুয়ারীর আগে কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নেই বাংলাদেশের।
তবে দুই তারকার অফফর্মে চিন্তার ভাঁজ বিপিএল দল গুলোর। লিটন দাসকে নেওয়া ঢাকা ক্যাপিটালস চাইবে না তার এই ফর্ম বিপিএলেও থাকুক। এদিকে একই ভাবনা নাজমুল হোসেন শান্তকে নেওয়া ফরচুন বরিশালের।
ইনজুরি কাটিয়ে দারুণ ভাবে মাঠে ফিরেছিলেন শান্ত। রাজশাহীর হয়ে ৫৪ বলে ৮০ রানের ইনিংস ছিল জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে। এরপর টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। রংপুরের সঙ্গে ৬, চট্টগ্রামের সঙ্গে ৪ রানের পর বুধবার ঢাকা বিভাগের সঙ্গে করলেন মাত্র ১ রান।
পারফরম্যান্স পড়তির দিকে রাজশাহীর অপর দুই তারকা মুশফিকুর রহিম ও তাওহিদ হৃদয়ের। আগের ম্যাচে ফিফটি করা হৃদয় এদিন ২৬ বলে ৩৭ রান করেছেন। মুশফিক ১৪ বলে ১৩। তারকা ক্রিকেটারদের বিবর্ণ দিনে জিততে পারেনি রাজশাহী। ১৪০ রানে অলআউট হয়ে ঢাকার কাছে হেরেছে ৭ উইকেটে। জাওয়াদ আবরারের ৩৯ বলে ৬২ রানে ১৫.১ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তুলে ফেলে ঢাকা বিভাগ। এই হারে প্লে অফে খেলার সুযোগ শেষ রাজশাহীর।
দিনের অপর ম্যাচে রংপুর ৭ উইকেটে হেরেছে ঢাকা মেট্রোর কাছে। আবু হায়দারের ৭ রানে ৩ উইকেটে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় রংপুর। আলাউদ্দিন বাবু ২৩ বলে ৪৭ রান করেন। রান তাড়ায় ঢাকা মেট্রোর সাদমান ইসলাম ৩৭ বলে করেছেন ৫৪ রান। এছাড়া আনিসুল ইসলাম ইমন ২৯ ও ইমরানুজ্জামান ২৫ রান করেন। মাত্র ১৫.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৬ করে ঢাকা মেট্রো।
দিনের শুরুতে বড় স্কোরের ম্যাচ ছিল না। ইয়াসির আলির ৬১ ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ৩০ রানে ৬ উইকেটে মাত্র ১২৯ রান করে চট্টগ্রাম। এ ম্যাচে বিশ্রামের নেওয়ায় খেলেননি তামিম ইকবাল। জবাবে আজিজুল হাকিমের ৩৬, জিয়াউর রহমানের অপরাজিত ৩৯ ও নুরুল হাসান সোহানের ২০ রানে ১৮.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তোলে খুলনা।
বরিশাল টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়েছে। আগে ব্যাট করে মাত্র ১০৮ রানে অলআউট হয় দলটি। জবাবে সিলেটও খুব স্বচ্ছন্দে জিততে পারেনি। ১০৯ রান করতে ৮ উইকেট হারাতে হয় দলটিকে।
পয়েন্ট তালিকায় টানা ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ঢাকা মেট্রো। রংপুর ৬ খেলায় ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়। এছাড়া প্লে অফের লড়াইয়ে আছে ৬ পয়েন্ট করে পাওয়া চট্টগ্রাম, খুলনা। ৪ পয়েন্ট করে পাওয়া সিলেট, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগেরও সম্ভাবনা আছে শীর্ষ চারে থাকার।