এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবগুলো ফ্রিজ বা অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
এর ফলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কোনও ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না তারা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে দেশে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপের প্রধান সাইফুল আলমকে (এস আলম)। বিগত সরকারের সময়কার আলোচিত ও প্রভাবশালী এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যাংক খাতের অর্থ লুটপাটসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আবু সাঈদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছে বিচারক। আবু সাঈদ আবেদনে এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো অবরুদ্ধ করার আদেশ চান।
শুনানি শেষে আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেন এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় এই ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবগুলো ফ্রিজ বা অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এসময় তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র বিভিন্ন শাখায় ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৯১ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।
এসব হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক বলে মনে করছে দুদক।
আবেদনে আরও বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপনের উদ্দেশ্যে এসব ব্যাংক হিসাবে জমা রেখেছেন। যেকোনো সময় এই অর্থ তুলে নিয়ে বিদেশে পাচারের শঙ্কা রয়েছে।
তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও তদন্তের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী মোট ১২৫টি হিসাবে জমা থাকা ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৯১ টাকা ফ্রিজ করা প্রয়োজন।