ব্যাটে রান নেই লিটন দাসের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার তিনটি ইনিংস ০, ৩, ১৪। রান খরা চললেও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব উপভোগ করছেন লিটন। একটা সময় ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে তাকেই ভাবা হত। তবে নানা সমীকরণে পিছিয়ে পড়েছেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার পর জানতে চাওয়া হয়েছিল বিসিবি টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব দিলে নিবেন কিনা? জবালে লিটন বললেন, ‘‘বিসিবি যদি আমাকে দায়িত্ব দেয় আমি করতে রাজি আছি। এখানে দ্বিমত থাকার কোনো কথা না। আমি এটা উপভোগ করছি। এতদিন খেলার অভিজ্ঞতা থেকে আমি অনেক সিদ্ধান্ত নিই, বোলাররাও স্কিল দেখাচ্ছে, মাঠে আমার কাজ সহজ হয়ে যায়।’’
ব্যাটে নিজের খারাপ সময়টা পেছনে ফেলতেও আশাবাদী লিটন, ‘‘ব্যাটিংয়ে আমি চেষ্টা করছি। তিন ফরম্যাট খেলছি, লাগাতার একটু খারাপ চলে গেছে। আমি চেষ্টা করছি। সালাউদ্দিন স্যারের সাথে কাজ করছি। সালাউদ্দিন স্যার অনেক হেল্পফুল। আমাদের অনেক সহায়তা করছেন। প্রত্যেক খেলোয়াড় স্যারের সাথে ফ্রি। স্যার খুব ছোট থেকে খেলোয়াড়দের চেনেন। ব্যাপারটা মানসিকভাবে আমাদের অনেক সহায়তা করছে। আমিও স্যারের সাথে কথা বলছি। আমার মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারব।’’
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে লিটনের মূল্যায়ন, ‘‘আমরা টেস্টে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ওয়ানডেতে দুর্ভাগ্যবশত আমরা জিততে পারিনি কিন্তু খারাপ খেলিনি। ঐ ধারাবাহিকতার ব্যাপারটা মাথায় ছিল। ভালো ক্রিকেট খেলছি কিন্তু জয় পাচ্ছি না। এই বিশ্বাস সবার মধ্যেই ছিল। হয়তো মনে হয়েছে আমরা ব্যাটিংয়ে সংগ্রাম করছি। আসলে পিচই এমন ছিল। ব্যাটারদের জন্য খুব একটা সহায়ক ছিল না। আজ যখন দেখলাম উইকেট ভালো, রানও ভালো হয়েছে। তবে সব কিছুর পর আমাদের বোলিং আউটস্ট্যান্ডিং।’’
শেষ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় জাকের আলীকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন লিটন,‘‘ আমাদের দলটা যদি দেখেন, টি-টোয়েন্টিতে খুব শক্তিশালী দল না। জাকেরের কথা বিশেষভাবে বলতে হয়। টেস্ট থেকে শুরু করে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি- তিন ফরম্যাটেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। এটা একজন ব্যাটারের বড় প্রাপ্তি। দলের জন্যও বড় পাওয়া। শামীম ঘরোয়া ও ‘এ’ দলের খেলায় পারফর্ম করেছে। তার ভেতরে আত্মবিশ্বাস ছিল। জাকেরের আত্মবিশ্বাস তো টেস্ট থেকেই। এটা দলের জন্য বড় পাওয়া লোয়ার অর্ডারে পাওয়ার হিটার খুঁজে পাচ্ছি। আরও উন্নতির জায়গা আছে, তবে এটা বড় পাওয়া।’’
শামীম হোসেনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছেন ভেবে প্যাভিলিয়ান ফিরেছিলেন জাকের। রিপ্লে দেখে আম্পায়ার গিয়ে ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে পাঠান তাকে। ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে এ নিয়ে জাকের বললেন, ‘‘ এটা ভয়াবহ ভুল বোঝাবুঝি ছিল। ড্রেসিংরুমে গিয়ে আমি নিজেকে, ব্যাটে এবং আশপাশে যা কিছু ছিল, সবকিছুতে লাথি মারছিলাম। আর তখনই থার্ড আম্পায়ার (ফোর্থ আম্পায়ার) আমাকে ডেকে নিল। এরপর আমার জন্য আরও একটি রানআউট হয়েছে। নিজেকে লাথি মারার ইচ্ছা হচ্ছিল আমার, সে সময় ভেঙেও পড়েছিলাম। তবে আলহামদুলিল্লাহ। এরপর আমি দলের জন্য রান করার সুযোগ পেয়েছি।’’