Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫

বিবিসির জরিপে ২০২৪ সালের সেরা অ্যালবাম কোন সঙ্গীতশিল্পীর

BBC 2024 best album
[publishpress_authors_box]

বছরজুড়ে আলোচনায় ছিলেন সময়ের পপ সম্রাজ্ঞী টেইলর সুইফট। বিয়ন্সেও একেবারে অপ্রাসঙ্গিক ছিলেন না। সাবরিনা কার্পেন্টারও তার স্বভাবসুলভ উচ্ছল উন্মাদনায় আনন্দিত করেছেন শ্রোতাদের। কিন্তু ২০২৪ সাল যখন প্রায় শেষ হয়ে এলো, আলোচনার খাতায় সবার উপরে নাম উঠালেন শারলট অ্যামা আইচিসন। পারফর্ম করেন চার্লি এক্সসিএক্স নামে। ২০২৪-এ প্রকাশিত তার ‘ব্র্যাট’ অ্যালবামটি অনেকের চোখেই সেরা।

বিবিসি ২০২৪ সালে প্রকাশিত এমন ২৫ সেরা অ্যালবামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো   

ব্র্যাট (চার্লি এক্সসিএক্স)

চার্লির জন্ম যুক্তরাজ্যের এসেক্সে। পপ সঙ্গীতজগতে কাজ করছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে।

ক্যারিয়ারের শুরুতেই এই শিল্পী ফ্যান্সি, আই লাভ ইট এবং বুম ক্ল্যাপ এর মতো জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছিলেন।

২০২৪ এর জুনে প্রকাশিত তার অ্যালবাম ব্র্যাট যেন এই বছরের সামার থিম সং হয়ে উঠেছিল।

চার্লি সম্পর্কে বিলবোর্ড- এর মতামত, “চার্লির ব্র্যাট  আধুনিক সময়ের সাংস্কৃতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অ্যালবামগুলোর একটি। সম্ভবত চার্লির সেরা কাজ এটি। ক্লাব কালচার এবং হাইপার পপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই অ্যালবামটি করা। সঙ্গীতের এক প্রান্তিক ধারাকে চার্লি মূলধারায় নিয়ে এসেছেন।”

কাউবয় কার্টার (বিয়ন্সে)

বিয়ন্সের কাউবয় কার্টার অ্যালবামটিকে কোন বাছবিচার ছাড়াই অনেকে কান্ট্রি সংয়ের অ্যালবামের তকমা দিয়ে দিচ্ছেন। অবশ্য আদৌ এটি কান্ট্রি জনরায় পড়ছেন তা নিয়ে তর্ক আছে। অ্যালবামটি বরং আমেরিকান লোকসঙ্গীতে কালোদের যে ঐতিহাসিক অবদান, তাকেই তুলে ধরে। অ্যালবামটি এমনকি সাইকেডেলিক রক ঘরানাকেও ছুঁয়ে গেছে।

অ্যালবামটি নিয়ে দ্য টাইমস এর মন্তব্য, “অ্যালবামের সেরা গান টেক্সাস হোল্ড’এম । তবে এই অ্যালবাম কি শেষ পর্যন্ত বিয়ন্সেকে গ্র্যামি এনে দেবে?”

রোমান্স (ফন্টেইন্স ডি.সি.)

আইরিশ রক ব্যান্ড ফন্টেইন্স ডি.সি.-এর চতুর্থ অ্যালবাম রোমান্স । দারুণ জনপ্রিয়তা পাওয়া এই অ্যালবামে যেমন আছে কনসার্ট জমানো গান, তেমনি আছে পাঙ্ক মিউজিক প্রিয় শ্রোতার চাহিদা মেটানো গান।

মিউজিক ডাটা নিয়ে কাজ করা আমেরিকান প্ল্যাটফর্ম অলমিউজিক এই অ্যালবাম নিয়ে লিখেছে, “সব বাদ দিয়ে যদি কেবল তাদের লিরিক্সের বিচার করি, তবে বলতেই হয়, গীতিকার হিসেবে তারা দারুণ। আর পাঙ্ক মিউজিক ছাপিয়েও, গানে তারা আবেগ প্রকাশ করতে সক্ষম।”

হিট মি হার্ড অ্যান্ড সফট (বিলি আইলিশ)

অ্যালবামের শিরোনামই অনেক কথা বলে দেয়। বিলি আইলিশের তৃতীয় এই অ্যালবামের প্রতিটি গান তুলে ধরে নিবিড় ঘনিষ্ঠতা আর অস্থির আবেগ। অ্যালবামটি তার বিশ পেরোনোর এক অন্ধকারময় অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরে।

দ্য টেলিগ্রাফ অ্যাওবামটি সম্পর্কে লিখেছে, “আইলিশ এমন কিছু তৈরি করেছেন যা একই সঙ্গে সমৃদ্ধ কিন্তু অদ্ভুত, বুদ্ধিমান, বিষণ্ণ এবং যথেষ্ট প্রজ্ঞাময়।”

ম্যানিং ফায়ারওয়ার্কস (এমজে লেন্ডারম্যান)

এমজে লেন্ডারম্যানের এই অ্যালবামটি একই সাথে কোমল, বিষণ্ণ এবং মজার অভিজ্ঞতার মিশ্রণ। অ্যালবামে তিনি তার নিজ শহর অ্যাশভিলের (নর্থ ক্যারোলিনা) মানুষের জীবনের হতাশা এবং সম্ভাবনাময় মানুষের হতাশায় ডুবে যাওয়ার গল্পগুলো বলেছেন।

নিউ ইয়র্ক টাইমস তার এই অ্যালবাম নিয়ে মন্তব্য করেছে, “গিটারের কাজ, গানের চরিত্রগুলোকে যেন মানবিক করে তুলেছে।”

সংস অব আ লস্ট ওয়ার্ল্ড (দ্য কিওর)

১৬ বছর ধরে কাজ করা এই অ্যালবামটি শ্রোতাদের হতাশ করেনি। এটি ইংলিশ রক ব্যান্ড দ্য কিওর এর ১৪তম স্টুডিও অ্যালবাম। ব্যান্ডের ফ্রন্টম্যান রবার্ট স্মিথ অ্যালবামের গানগুলো লিখেছেন। তার মা, বাবা এবং ভাইয়ের মৃত্যুতে তার শোক এবং ভেঙ্গে পড়ার অভিজ্ঞতা গানে উঠে এসেছে।

বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে স্মিথ বলেন, এই অ্যালবাম তৈরি করা তার জন্য ছিল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি” যা তাকে তার “অন্ধকার এবং বিষণ্ণতা” থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করেছে।

অ্যালবামটি সম্পর্কে টাইম ম্যাগাজিন লিখেছে, “অ্যালবামটি মৃত্যুর ভৌতিক অভিজ্ঞতা দিয়ে ঠাসা। তবে সঙ্গীতের দিক থেকে এটি বেশ সফল, কারণ গত কয়েক দশকে দ্য কিওর এর সঙ্গীতে এত প্রাণবন্ত আমেজ আর দেখা যায়নি।”

ডায়মন্ড জুবিলি (সিন্ডি লি)

দুই ঘন্টার এই অ্যালবামটি পপ এবং সাইকেডেলিয়ার মিশ্রণ। বছরের সবচেয়ে রহস্যময় অ্যালবাম বলা হচ্ছে ডায়মন্ড জুবিলি কে।

তবে সিন্ডি লি এর এই সপ্তম অ্যালবামটিতে আছে খুঁজে বের করে শোনার মত গান।

ব্রিটিশ ম্যাগাজিন আনকাট অ্যালবামটি নিয়ে লিখেছে, “সিন্ডি লি এই ডিজিটাল যুগের সঙ্গীত প্রকাশের ধারা, নিয়ম এবং প্রত্যাশা প্রায় সবকিছুই ভেঙে দিয়েছেন। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অ্যালবামটির সাউন্ড একটা খুব সতেজ অনুভূতি দেয়।”

টাইগার্স ব্লাড (ওয়াক্সাহ্যাচি)

আমেরিকান ইন্ডি মিউজিক প্রজেক্ট ওয়াক্সাহ্যাচি । টাইগার্স ব্লাড তাদের ষষ্ঠ অ্যালবাম। অ্যালবামটির গানগুলোর জন্ম হয়েছে জীবনের নানা সংকট এবং সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে। এই প্রজেক্টের সিংগার- সংরাইটার কেটি ক্রাচফিল্ড তার উদ্বেগ, সংশয় আর প্রবল আসক্তির জীবনের সঙ্গে বোঝাপড়ার গল্প কান্ট্রি-রক আবহে প্রকাশ করেছেন।

পিচফোর্ক লিখেছে, “গানগুলোর কথা যেন প্রবল ক্ষুধা নিয়ে যেন শ্রোতার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে।”

জিএনএক্স (কেনড্রিক লামার)

কেনড্রিক লামারের ষষ্ঠ অ্যালবাম জিএনএক্স কে বলা হচ্ছে চমকপ্রদ। লামার নিজে এই অ্যালবামকে বলছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের হিপহপ সংস্কৃতির প্রতি একটি ভালোবাসার চিঠি।

লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস অবশ্য সমালোচনা করে লিখেছে, “লামার অহেতুক ছড়া কেটে গানের স্পেস নষ্ট করেছেন।”

১০

শর্ট অ্যান্ড সুইট (সাবরিনা কার্পেন্টার)

শর্ট অ্যান্ড সুইট সাবরিনা কার্পেন্টারের ষষ্ঠ অ্যালবাম। অ্যালবামটিতে তার কিশোর বয়সের হাস্যরসিকতা ঘুরে ফিরে এসেছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে “মজার ছলে এবং হাস্যরসের সাথে এক খারাপ প্রেমিকের গল্পই যেন উঠে এলো অ্যালবামে।”

বাকি ১৫ অ্যালবাম

ক্রোমোকোপিয়া (টাইলার, দ্য ক্রিয়েটর)

ওয়াইল্ড গড (নিক কেভ ও দ্য ব্যাড সিডস)

লাইভস আউটগ্রোন (বেথ গিবনস)

টু স্টার অ্যান্ড দ্য ড্রিম পিপল (এমকেজি)

হিয়ার ইন দ্য পিচ (জেসিকা প্র্যাট)

অনলি গড ওয়াজ অ্যাবভ আস (ভ্যাম্পায়ার উইকএন্ড)

ব্রাইট ফিউচার (অ্যাড্রিয়ান লেঙ্কার)

অ্যালিগেটর বাইটস নেভার হিল (ডোইচি)

চার্ম (ক্লেইরো)

দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট (টেইলর সুইফট)

এন্ডলেসনেস (নালা সিনেফ্রো)

দিস কুড বি টেক্সাস (ইংলিশ টিচার)

প্রিলিউড টু এক্সট্যাসি (দ্য লাস্ট ডিনার পার্টি)

ইম্যাজিনাল ডিস্ক (ম্যাগডালেনা বে)

মাই মেথড অ্যাক্টর (নিলুফার ইয়ানিয়া)

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত