Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হাসান আরিফ 

এ এফ হাসান আরিফ।
এ এফ হাসান আরিফ।
[publishpress_authors_box]

মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরশায়িত হলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে সমাহিত করা হয়।

এসময় হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফ বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমরা এক ভাই, এক বোন। ছোটবেলা থেকে আদালতের আবহে বড় হয়েছি। বাবার কাছে আমাদের কোনও প্রয়োজন থাকলে কেবল শনিবার বলতে পারতাম।

“বাবাকে কাছে পেতে শুরু করেছি যখন আমি তার সঙ্গে চেম্বারে কাজ করা শুরু করি। তিনি সবসময় কোর্ট আর চেম্বারেই ব্যস্ত থাকতেন। আইনজীবী হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন, তা সবাই জানেন। বাবা সবসময় আমাদের খেয়াল রাখতেন। আমি বিশ্বাস করি, বাবার রেখে যাওয়া কাজে দেশবাসী উপকৃত হবেন।”

গত শুক্রবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান হাসান আরিফ। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। পরদিন সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তাকে শেষ বিদায় জানান তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দেশের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা রয়েছে।

হাসান আরিফের জন্ম ১৯৪১ সালে, কলকাতায়। সেখানকার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

১৯৬৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে হাসান আরিফের কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৭০ সালে ঢাকায় এসে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন তিনি।

২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন হাসান আরিফ।  

গত ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পান হাসান আরিফ।

পরে তাকে ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বাসস।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত