Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫

লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক হচ্ছে না

ss-lathitila-safari-park-bilboard-17122024
[publishpress_authors_box]

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া প্রায় চারশ কোটি টাকার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক (১ম পর্যায়)’ প্রকল্পটি শেষ পর্যন্ত বাতিল হলো।

সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ দেওয়া হয়।

সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “একটা প্রকল্প আমরা বাদ দিয়েছি। প্রকল্পটা আগেই বাতিল করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন এটাকে ফর্মালি একনেকের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হলো। এটা হলো বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক মৌলভীবাজার।”

এসময় প্রকল্পটি গ্রহণের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, “কেন এখানে ইকো পার্কের জন্য এত বড় প্রকল্প করা হয়েছিল সেটা একটা আশ্চর্যের বিষয়!

“এটাকে বাদ দেওয়া খুব সোজা। কারণ ওই অঞ্চলটা হলো আমাদের দেশীয় আইন অনুযায়ী জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষিত এলাকা। এখানে যদি একটা ইকো পার্ক করা হয় পর্যটনের জন্য তাহলে কিন্তু সমীক্ষা করে দেখা গেছে যে এই জীববৈচিত্র্য বিশেষ করে হাতিদের চলাফেরা এবং অন্যান্য যে জীব-জন্তু আছে এগুলোর ভীষণ ক্ষতি হবে।”

সবদেশেই কিছু কিছু বনাঞ্চল থাকা উচিত যেগুলো ইকোলজিক্যালি সেনসেটিভ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এগুলো সংরক্ষিত হিসাবে থাকে। এই অঞ্চলটাকে আগে থেকেই সংরক্ষিত অঞ্চল ছিল।”

গত বছরের ৯ নভেম্বর ৩৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

সিলেটের মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় অবস্থিত চিরসবুজ সংরক্ষিত বনভূমির ৫ হাজার ৬৩১ একর এলাকা জুড়ে ৩৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় গত বছরের নভেম্বরে। পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া প্রকল্পটির বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল বন অধিদপ্তর।

দেশের ইকোট্যুরিজমের উন্নয়নে ২৭০ একর এলাকায় কোর সাফারি পার্কসহ সাফারি কিংডম স্থাপনের জন্য অনুমোদন পাওয়া এই প্রকল্পটি ২০২৮ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

শুরু থেকেই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছিল দেশের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। সেসময় বলা হচ্ছিল, লাঠিটিলা বনের মধ্যে সাফারি পার্ক তৈরি করা হলে তা হবে প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য আত্মঘাতী। সংরক্ষিত বনের চরিত্র পরিবর্তন করে সাফারি পার্ক তৈরিকে সর্বনাশা বলেও অভিহিত করেন অনেকে। সরকারকে এ প্রকল্প থেকে সরে আসতেও আহ্বান জানানো হয়।

গত সপ্তাহেই জানা গিয়েছিল যে পরবর্তী একনেকে এটি বাতিল হতে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত