Beta
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫

শেখ হাসিনাকে যে কারণে ফেরত নাও দিতে পারে ভারত

ss-sheikh hasina-morning post-3124
[publishpress_authors_box]

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক আবেদন নয়া দিল্লিকে কূটনৈতিক সঙ্কটে ফেলেছে। কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনি অনিশ্চয়তা এবং কৌশলগত স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয়ে ভারতের পক্ষে বাংলাদেশের এই আবেদনে সাড়া দেওয়া সম্ভব নয়।

ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। এর মধ্য দিয়ে তার ১৫ বছরের শাসন শেষ হয়। সেদিনই তিনি ভারত পালিয়ে যান। বলা হয়, ভারত সরকারের দেওয়া বাড়িতে রয়েছেন তিনি।

শেখ হাসিনাকে ফেরতে বেশ কিছুদিন কথা-বার্তার পর গত ২৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকতা সারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাকে ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠায় নয়া দিল্লিতে। নরেন্দ্র মোদী সরকার চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি।

শুক্রবার প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারত এখনও কোনো মন্তব্য করতে প্রস্তুত নয়। এক সপ্তাহ আগে ভারত যেমন এই প্রশ্নে নিরুত্তর ছিল, এখনও তেমনই।

শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে বাংলাদেশের বার্তা পাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। ওই প্রাপ্তিস্বীকারের বাইরে তেমন কিছু বলার নেই।’

ফলে শেখ হাসিনাকে ফিরতে হবেই কি না, তা স্পষ্ট নয় এখনও।

শেখ হাসিনার শাসনকালে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক ছিল বেশ উষ্ণ। তার পতনের পর সেই সম্পর্ক শীতলতার দিকে গড়াচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নয়া দিল্লির সম্পর্কে টানাপড়েন সম্প্রতি উত্তেজনার দিকেও গড়ায় হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর।

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের ঘটনাগুলোর জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিচার করতে আন্দোলনকারীরা তাকে ফেরত আনার জোর দাবি জানিয়ে আসছেন। গণহত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার প্রথমে এক্ষেত্রে রয়েসয়ে এগোতে চাইলেও পাঁচ মাস পর গত ২৩ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে (হাসিনা) ফেরত চায়- জানিয়ে আমরা ভারত সরকারের কাছে একটি নোট ভারবাল (কূটনৈতিক বার্তা) পাঠিয়েছি।”

তা পাওয়ার কথা স্বীকার করে  দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশ হাই কমিশনের থেকে একটি নোট ভারবাল পেয়েছি আমরা। বর্তমানে এই বিষয়ে মন্তব্য করার মতো কিছু নেই।”

ভারতের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক কয়েকজন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, শেখ হাসিনার অপরাধের শক্ত প্রমাণ ছাড়া তাকে ফেরত নাও দিতে পারে নয়া দিল্লি।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “বাংলাদেশকে শক্তিশালী প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে যে হাসিনা ওই অপরাধে দোষী। কারণ প্রত্যর্পণ একটি বিচারিক প্রক্রিয়া। দুটি দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্তাবলীর মধ্যে ন্যায্যতা ও নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি অবশ্যই মানতে হবে।”

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণের চুক্তি আছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ই ২০১৩ সালে চুক্তিটি হয়। ২০১৬ সালে সেটি সংশোধনও হয়েছিল।

রাজনৈতিক বিষয়াবলি এই চুক্তির আওতায় পড়ে না। তবে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে হত্যার মতো ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগও রয়েছে। আবদনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে বিচারের জন্য ফেরত পাওয়ার কথাই বলা হয়েছে।

জুলাই আন্দোলনের চিত্র। ফাইল ছবি

জুলাইয়ে বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করে। অভিযোগ আছে, শেখ হাসিনার নির্দেশের পর সরকারি বাহিনী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে হামলা চালায়। এতে অনেক শিক্ষার্থী নিহত হয়। এরপর অন্যান্য মানুষও আন্দোলনে যোগ দেয়। ফলে শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে হয়।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এক হিসাব অনুযায়ী, টানা সাত সপ্তাহের গণঅভ্যুত্থানে এক হাজারের বেশি প্রতিবাদকারী নিহত এবং প্রায় ২০ হাজার মানুষ আহত হয়েছে।

ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। গত বছরের আন্দোলনের সময় গণহত্যা এবং ১৫ বছরের শাসনে মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে করা বিভিন্ন মামলায়। অন্তর্বর্তী সরকার তাকে গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সাহায্যও চেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় গত সপ্তাহে সোশাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকার ‘বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার’ করেছে।

গত মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় ছাত্রদের নেতৃত্বে কয়েক হাজার মানুষের সমাবেশ থেকে শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সমাবেশে শেখ হাসিনার বিচার ও তার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের আওতায় আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাহফুজ আলম বলেন, পুরো জাতি চায় শেখ হাসিনার শাসনামলে হওয়া সব ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ জন্য বাংলাদেশের আদালতে তার বিচার হোক।

তিনি বলেন, “জুলাই ও আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে এক হাজারের বেশি শান্তিপূর্ণ ছাত্র এবং অন্যান্য প্রতিবাদকারীকে হত্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে ২০০৯ সাল থেকে হাজার হাজার জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তাকে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিপুল পরিমাণ সরকারি তহবিল আত্মসাতের বিষয়ও রয়েছে।”

“শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। তাকে তার সব মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচার করা উচিত”, বলেন মাহফুজ আলম, যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান থেকে এখন উপদেষ্টার ভূমিকায়।    

তবে ভারতের সাবেক হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ঘটনা হচ্ছে- শেখ হাসিনা যে সময় পালিয়ে ভারত চলে আসেন সে সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি। বিষয়টি বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ প্রচেষ্টাকে জটিল করতে পারে।

এখানে “অনেক আইনি প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর এখনও মেলেনি”, বলেন তিনি।

ভারতের সাবেক এই হাই কমিশনার বলেন, “একটি অসাংবিধানিক অন্তর্বর্তী সরকার কি একজন প্রধানমন্ত্রীকে প্রত্যর্পণের জন্য আবেদন করতে পারে? সেনাবাহিনী তাকে জোরপূর্বক দেশ থেকে বের করে দিয়েছে, তিনি কিন্তু পদত্যাগ করেননি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) কি ১৯৭১ সালের গণহত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধ ছাড়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার ক্ষমতা রাখে?”

পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী এ সময় দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির ‘রাজনৈতিক ব্যতিক্রম’ ধারা উল্লেখ করে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক আবেদন ভারতের প্রত্যাখ্যানের সুযোগ থাকার কথা বলেন।

বাংলাদেশি রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদুর রহমান মনে করেন, ভারত সম্ভবত হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে না। বিষয়টি ‘প্রায় নিশ্চিত’।

শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতার মালা পরিয়ে তার প্রতি ঘৃণার প্রকাশ ঘটায় এই কর্মসূচির আয়োজকরা।
শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতার মালা পরিয়ে তার প্রতি ঘৃণার প্রকাশ।

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ শাসনকালে বাংলাদেশে কতটা অজনপ্রিয় ছিলেন; তার প্রতি মানুষের ক্রোধ, ক্ষোভ ও ঘৃণা কতটা- নিশ্চয়ই সেসব জানত ভারত। কিন্তু তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন এবং ভারতের প্রয়োজন মেটাতে পারছিলেন তখন ভারত সরকার সেই পরিস্থিতি বজায় রাখতে চেয়েছিল।

“এখন ভারত নিশ্চয়ই জানে, শেখ হাসিনাকে আবার বাংলাদেশের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুধুমাত্র মানুষের মধ্যে আরও ক্রোধ, ক্ষোভ ও ঘৃণা বাড়াবে; যা তাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখা অসম্ভব করে তুলবে।”

বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশনা ইমাম মনে করেন, ভারত শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করতে আগ্রহী নাও হতে পারে। কারণ দেশটি চীনকে পরাজিত করে সুপারপাওয়ার হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং শক্তিশালী আঞ্চলিক রাষ্ট্র হতে চাইছে।

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা ভারতের সমর্থন পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের স্বার্থ অনেকভাবে ত্যাগ করেছেন, যাতে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারেন। এখন ভারত এ কারণে উদ্বিগ্ন যে, তারা হাসিনাকে ফেরত পাঠালে তা তার বর্তমান ও ভবিষ্যত মিত্রদের কাছে এমন বার্তা যাবে যে, প্রয়োজনের সময় কথা রাখে না ভারত।”

ভারত শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টিকে বাংলাদেশের বিচারিক প্রক্রিয়া ও সার্বভৌমত্বের প্রতি এক ধরনের অপমান হিসেবে দেখা হবে বলেও মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।

রাশনা ইমাম বলেন, “ভারত শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টি দক্ষিণ এশিয়ার শক্তির সমীকরণেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।

“এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সম্ভবত চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে তার আঞ্চলিক জোট আরও দৃঢ় করবে। ভারতকে এই কঠিন সত্যের মুখোমুখি হতে হবে যে, তাদের আঞ্চলিক প্রভাব দ্রুত কমছে। ভারত এই পথে হেঁটে প্রত্যর্পণ অস্বীকার করলে আঞ্চলিক শক্তিশালী রাষ্ট্র হওয়ার ভারতীয় আকাঙ্ক্ষা, সুপারপাওয়ার হওয়া তো দূরের কথা, সম্ভবত একটি দূরবর্তী স্বপ্ন হয়ে পড়বে।”

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিক জন ড্যানিলোভিচ মনে করেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণেই ভারত অচিরেই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে পারবে না।

গ্রাফিতি।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়ন স্থান পেয়েছে গ্রাফিতিতে। ছবি : জীবন আমীর

তিনি মনে করেন, ভারতের বর্তমান অবস্থান হলো, শেখ হাসিনা ছিলেন তাদের বন্ধু। তাকে বিদেশি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উৎখাত করা হয়েছে। এছাড়া ভারত মনে করে, শেখ হাসিনার পতন ‘পাকিস্তানপন্থী উপাদানগুলোকে’ লাভবান করেছে।

ড্যানিলোভিচ বলেন, “এই মিথ্যা কথনের বিরুদ্ধে কিছু না করার ফলে মোদি সরকারের হাতে এখন সুযোগ খুব কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার খরচ বাড়তে থাকলে, ভারত সম্ভবত তাকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে এই সংকট থেকে মুখরক্ষার উপায় খুঁজে নেবে।”

শেখ হাসিনাকে দিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো এলাকার একটি সুরক্ষিত সরকারি বাড়িতে রাখা হয়েছে। সেখানে তিনি সরকারি প্রটোকল পাচ্ছেন বলেও ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানিয়েছিল। তবে এবিষয়ে ভারত সরকার কখনও কিছু বলেনি।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ছয় বছর ভারতেই নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত