Beta
শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায় আপিল বিভাগেও বহাল   

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
[publishpress_authors_box]

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির চার মামলা বাতিল করেছিল হাই কোর্ট। সেই রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে রবিবার এই আদেশ দেয় বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এছাড়া তারেক রহমানের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এম বদরুদ্দোজা ও মো. রুহুল কুদ্দুস এবং আইনজীবী কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।

আদেশের পর আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, “হাই কোর্ট মামলাগুলো বাতিল করেছিলেন। এই বাতিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল। দুই পক্ষের শুনানির পর সর্বোচ্চ আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ডিসমিসড (খারিজ) করে দিয়েছেন। এর ফলে হাই কোর্টের বাতিলের রায়ই বহাল থাকছে।”

তারেক রহমানের আইনজীবীদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এক কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৮ মার্চ রাজধানীর গুলশান থানায় একটি মামলা করেন আজম আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। দ্রুত বিচার আইনের এই মামলায় তারেক রহমানের সঙ্গে আসামি করা হয় তার একান্ত সহকারী মিয়া নূরউদ্দিন অপুকেও।

এই মামলার ১৯ দিন পর ২৭ মার্চ একই থানায় এক কোটি ৩২ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন রেজা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যদেরও এই মামলায় আসামি করা হয়।

পরের মাস অর্থাৎ ২০০৭ সালের ১ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আরও একটি মামলা হয়। এই মামলাটি করেন মীর জহির হোসেন নামে এক ঠিকাদার। এরপর একটি ব্যবসায়িক প্রকল্পের আয় থেকে লভ্যাংশ দাবি এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে ২০০৭ সালের ৪ মে গুলশান থানায় আরেকটি মামলা করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা সৈয়দ আবু শাহেদ সোহেল নামের এক ব্যক্তি।

এই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে হাই কোর্টে আবেদন করেন তারেক রহমান। প্রাথমিক শুনানির পর হাই কোর্ট মামলা বাতিল প্রশ্নে রুল জারির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। চূড়ান্ত শুনানির পর সেই রুল যথাযথ ঘোষণা অর্থাৎ মামলা বাতিল করে গত ২৩ অক্টোবর রায় দেয় হাই কোর্ট।

হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ৯ ডিসেম্বর এসব লিভ টু আপিল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত আবেদনগুলো আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে। এই ধারাবাহিকতায় শুনানির পর হাই কোর্টের রায় বহাল রেখে আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

শুনানিতে তারেক রহমানের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “তারেক রহমানকে এই চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে তারেক রহমানের কোমরের হাড় ভেঙে ফেলা হয়। এটা কখনও ঠিক হবে না। এসব মামলার এজাহারে তারেক রহমানের নামই ছিল না।”

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে

একের পর এক মামলার দায় থেকে মুক্ত হচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যাকে ‘ন্যায়বিচার’বলছেন দলটির নেতারা।

অসংখ্য মামলার মধ্যে চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের দণ্ড ছিল। এরই মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আপিলের রায়ে খালাস পেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত