বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচে ঢাকায় বলার মতো রান পাননি। প্রথম ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ৭ রানে আউট হয়েছিলেন। পরের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে করেন ২৮ রান। তবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দারুণভাবে জ্বলে উঠলেন ফরচুন বরিশালের ওপেনার তামিম ইকবাল। রাজশাহীর বিপক্ষে ৪৮ বলে খেলেছেন ৮৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। শেষ পর্যন্ত রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল।
রাজশাহীর করা ১৬৮ রানের জবাবে ১৭.৩ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল। তিন ম্যাচে এটা তাদের দ্বিতীয় জয়।
১২ রানে বরিশালের প্রথম ওপেনার প্রীতম কুমার আউট হন। মাত্র ৩ রানেই আউট হয়েছেন তিনি। কাইল মায়ার্সও সেভাবে রান পাননি। ২৪ রানে আউট হলে ক্রিজে আসেন তৌহিদ হৃদয় । তিনিও মাত্র ১৩ রানে ফিরলে বাকি সময় তামিমকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। শেষ পর্যন্ত মুশফিকুর ২৪ বলে ৩৪ রানে ছিলেন অপরাজিত।
এর আগে দুর্বার রাজশাহীর শুরুটা হয় দারুণ। পাওয়ার প্লে’তেই ১ উইকেটে তোলে ৬০ রান। যদিও সে তুলনায় তাদের ইনিংসে শেষটা ছিল নড়বড়ে। শেষ পাঁচ ওভারে ২ উইকেটে ৩৫ রান তুলতে পারে। এতে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ২০ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৬৮ রান।
বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বরিশাল। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছে রাজশাহীর দুই ওপেনার। ১৬ বলে ২২ রান করে আউট হন ওপেনার মোহাম্মদ হারিস। আরেক ওপেনার জিসান আলম, তিনে নামা অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় এবং চার নম্বরে ইয়াসির আলী রাব্বিও ভালো শুরু করেন। ২৭ বলে ৩৮ রান করেন জিসান। বিজয়ের ব্যাটে আসে সর্বোচ্চ ৩৯ রান।
২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ করেন রাব্বি। যদিও এদের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। যে কারণে বড় পুঁজি পায়নি বরিশাল। বিজয় এবং রাব্বিকে আউট করেন পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। আর জিসানকে উইকেটের পেছনে প্রীতম কুমারের শিকার বানিয়ে ফিরিয়েছেন আরেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ফাহিম আশরাফ। এরা আউট হওয়ার পর রানের গতি অনেকটা কমেছে রাজশাহীর। শেষদিকে আকবর আলীর ৯ বলে ১ ছক্কায় খেলা ১৫ রানের ইনিংসে ১৭০-এর কাছাকাছি পৌঁছে যায় দলটির সংগ্রহ।
বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পেয়েছেন শাহিন আফ্রিদি, একটি করে উইকেট পান ফাহিম ও তানভীর।