Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

গতি ফিরছে উন্নয়নে, ডিসেম্বরেই ব্যয় ১০ হাজার কোটি টাকা

SS-ADP-Implementation-241124
[publishpress_authors_box]

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় স্থবির হয়ে পড়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতি কিছুটা ফিরে এসেছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে এডিপি বরাদ্দ থেকে মাত্র ৩৪ হাজার ২১৪ কোটি টাকা বা মাত্র ১২ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছিল। সেখানে ডিসেম্বরেই ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা এডিপি বাস্তবায়নে কিছুটা গতি এনেছে।

এখন থেকে অর্থবছরের বাকি সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্রুততর হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

বুধবার একনেক বৈঠক-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা এডিপি বাস্তবায়ন করেছি ৪৪ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময় পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছিল ৬২ হাজার কোটি টাকা।”

চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রথম পাঁচ মাসে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিল মাত্র ১২ শতাংশ; যা টাকার অঙ্কে ১২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।

বিশেষ করে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এবং শেখ হাসিনার সরকার পতন-পরবর্তী সময় সৃষ্ট অস্থিরতায় সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

বিগত সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দেয়, যার মধ্যে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান থেকে এক লাখ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা জোগান দেওয়ার কথা রয়েছে।

চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের এই হার আগের অর্থবছরের একইসময়ের তুলনায় গতি কম হওয়ার কারণ উল্লেখ করেছেন উপদেষ্টা।

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এর কারণ হচ্ছে আমরা পহেলাতেই প্রকল্পগুলো যাচাই-বাচাই করছিলাম। এখন থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্রুততর হবে।”

কীভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্রুত হবে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এই একনেকের মিটিংয়ে অনেক দ্রুত এবং বেশি (দশটি) প্রকল্প অনুমোদন করেছি। এভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন অনেক দ্রুততর হবে।

“তার একটা কারণ হলো- বেশ কিছু প্রকল্প এখন আসছে যেগুলা আমাদের সময়ের নতুন প্রকল্প। আগেরগুলো অনেক যাচাই-বাচাই করতে হচ্ছিল, ফেরত পাঠাতে হচ্ছিল, আবার সংশোধন করতে হচ্ছিল। এই প্রথম আমাদের নিজেদের নতুন প্রকল্পগুলো আসা শুরু করেছে, বিশেষ করে স্থানীয় পর্যায়ের।”

“আমি স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এই ধরনের প্রকল্প পাঠাতে বিশেষ অনুরোধ করেছি। পরিকল্পনা কমিশনকেও বলেছি অনুসন্ধান করে স্থানীয় ধরনের প্রকল্প কোনগুলো আছে, সেগুলো খুঁজে বের করার জন্য”, বলেন উপদেষ্টা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত