চুলায় চা বানানোর পাত্র বসিয়ে তাতে তিন কাপ পানি দিন। এবার তাতে দিন ১৫টি তুলসি পাতার কুচি, আদা কুচি এবং এলাচ গুঁড়া।
এলাচের বদলে দারুচিনিও দেয়া যায়।
১০ মিনিট পানি ফুটিয়ে নিন। চা ছেঁকে কাপে ঢালুন। এবার চাইলে লেবুর রস দিয়ে নেড়ে নিয়ে গরম গরম চুমুক দিতে পারেন চায়ে।
অনেকে চায়ে চিনির বদলে মধু মেশান উপকারের কথা ভেবে। তবে খুব গরম খাবারে মেশানো হলে তাতে মধুর গুণাগুণ অনেকখানি কমে যায়। তুলসি পাতার সঙ্গে আদা ও এলাচের সুগন্ধ মেশানো এই চায়ের স্বাদ জিভে ঠেকলে আলাদা করে চিনি বা মধু কোনোকিছুই যোগ করার কথা মনেও হবে না।
সকালে চা পানের অভ্যাস যাদের আছে, তারা শীতে দিনের শুরু এই ভেষজ চায়ের সঙ্গেই করতে পারেন।
তুলসি পাতার চায়ের উপকারিতা
‘ভেষজ রানি’ তুলসি শীতের নানা অসুখ থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। সর্দি-কাশি, জ্বর, গলাব্যথা হলে জাদুর মতো আরাম এনে দেবে তুলসি পাতার চা। শ্বাসকষ্টের সমস্যাতেও তুলসি পাতার চা ভীষণ উপকারি। যাদের সাইনোসাইটিস আছে তারা তুলসি চায়ে উপকার পাবেন।
একই সঙ্গে ‘ঔষধি গাছের রানি’ তুলসি পাতার চায়ে সারবে ঠান্ডাজনিত মাথাব্যথা। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভরপুর এই চা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
ছাদবাগানে অথবা বারান্দায় আলো-বাতাস আসে এমন জায়গায় তুলসি পাতার গাছ অবশ্যই যত্ন করে বড় করুন। তুলসি গাছে ফুল ও বীজ হলে আশেপাশে টবে আরও অনেক চারা গজিয়ে যায়। একটি থেকে তাই সহজেই অনেক তুলসি গাছ হবে বাগানে, আবার পরিচিতদেরও তুলসি চারা উপহার দিতে পারবেন।
কাদের তুলসি চা বারণ
কোনো অপারেশন হওয়ার আগের তুলসি চা পান একেবারেই ঠিক হবে না। রক্ত পাতলা রাখার ওষুধ যারা সেবন করে থাকেন, তারাও তুলসি চা পান করবেন না। কারণ তুলসি এমনিতেই রক্ত পাতলা করে থাকে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তুলসি চা পানেও বিধিনিষেধ আছে। সন্তানকে বুকে দুধ খাওয়ালে মায়ের তখন তুলসি চা চলবে না।
তুলসি রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। তাই যারা ডায়বেটিসের ওষুধ খান বা ইনসুলিন নিচ্ছেন নিয়মিত তারা বরং তুলসি চা এড়িয়ে চলুন।
তুলসি পাতার রস করেও খাওয়া যায়। আবার চিবিয়েও খাওয়া যায়। তবে তুলসি পাতায় লৌহ থাকে বলে চিবিয়ে খেলে দাঁতে দাগ হতে পারে।