Beta
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫

আফগানিস্তান ম্যাচ বয়কটের দাবি প্রত্যাখ্যান ব্রিটিশ সরকারের

২৬ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ড-আফগানিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার কথা। (ফাইল ছবি)
২৬ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ড-আফগানিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার কথা। (ফাইল ছবি)
[publishpress_authors_box]

আফগানিস্তানে এখন চলছে তালেবানের শাসন। ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফিরে বিভিন্নভাবে নারীর অধিকার হরণ করে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালেবান সরকার। যার মধ্যে একটি, মেয়েদের ক্রিকেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি। নারীর অধিকার ক্ষুন্ন হওয়ায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ম্যাচ বয়কটের ডাক দেয় ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরা। তবে তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ব্রিটিশ সরকার।

সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লিসা নন্দী জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচ সূচি অনুযায়ী হওয়া উচিত। ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে রাজনীতি না জড়িয়ে ক্রিকেটভক্তদের উপভোগ্য একটি ম্যাচ উপহার দেওয়ার পক্ষে কথা বলেছেন তিনি।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি অনুযায়ী, ২৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে মুখোমুখি হওয়ার কথা ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের। তালেবান সরকার নারীর অধিকার নিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করায় ব্রিটেনের ২০০ রাজনীতিবিদ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) বরাবর একটি চিঠি দেয়। যে চিঠিতে তারা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ওই ম্যাচটি বয়কটের আহ্বান জানান।

ব্রিটিশ সরকারের সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লিসা নন্দী। ছবি: এক্স

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন লিসা নন্দী। ব্রিটেনের ক্রীড়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা মনে হয় এটা (ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচ) হওয়া উচিত। খেলাধুলায় বয়কটের ব্যাপারে আমি সহজাতভাবেই খুব সতর্ক, কারণ আমার মনে হয় এগুলোতে হিতে বিপরীত হয়।”

ক্রিকেটভক্ত ও খেলোয়াড়দের কোনোভাবেই নিজেদের প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয় বলেও মনে করেন লিসা, “আমার মনে হয়, এই বিষয়টি ক্রীড়াপ্রেমীদের তাদের পছন্দের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। তারা সেইসব ক্রীড়াবিদদের শাস্তি দিতে পারে না যারা তাদের খেলার শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য খুব কঠোর পরিশ্রম করে এবং শেষে গিয়ে প্রতিযোগিতার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে তালেবানদের ভয়াবহ কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা যাদের শাস্তি দিতে চাই, তারা এমন লোক নয়।”

ব্রিটিশ সরকার থেকে যখন ইতিবাচক মন্তব্য এসেছে, তখন আবার আফগানিস্তান ম্যাচ বয়কটের ডাক এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী গেটন ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, “ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা, অন্য দেশের ফেডারেশন ও আইসিসির সতর্কতার সঙ্গে ভাবা উচিত তারা বিশ্বকে কী বার্তা দিতে চায়; বিশেষ করে মেয়েদের খেলাধুলায়। আফনিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলা উচিত কিনা, ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে এই সিদ্ধান্ত আমি ‍দিতে পারি না। যদি আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারতাম, তাহলে অবশ্যই এটা (দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান ম্যাচ) হতো না।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত