কানাডার প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ১৭ বছর আগে করা মামলায় আরও ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ মামলার শুনানির জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ঠিক করেছে।
সাক্ষীরা হলেন- মো. এমরান হোসেন চৌধুরী, জহুরুল হক, শফিকুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, হামিদুর রহমান ও তাহেরুল ইসলাম।
এ নিয়ে মামলাটির ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
কানাডার প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ মে দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান যে অভিযোগপত্র দেন, তাতে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।