Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

সীমান্ত পরিস্থিতি এখন মোটামুটি স্বাভাবিক : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মঙ্গলবার ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন 
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
[publishpress_authors_box]

সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে পাঁচটি স্থানে ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করলে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, সেই পরিস্থিতি এখন ‘মোটামুটি স্বাভাবিক’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা জানান বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনী-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার ময়মনসিংহ বিভাগের কর্মকর্তা এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার একই অঞ্চলের কর্মকর্তারা এ মতবিনিময় সভায় ছিলেন।

সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের প্রস্তুতি নিলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধের মুখে তা বন্ধ রয়েছে।

এ নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করলেও দুই দেশের স্থানীয়দের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা। সোশাল মিডিয়াও বিষয়টি নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে।

মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি এখন মোটামুটি স্বাভাবিক। সেখানে কোনও উত্তেজনা নেই। ভারতীয় পক্ষ এখন আর কোনও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে না। সীমান্তে এখন স্থিতাবস্থা বিরাজ করছে।

আগামী মাসে মহাপরিচালক পর্যায়ে বিজিবি ও বিএসএফ বৈঠক রয়েছে, সেখানে সীমান্তের বিষয়টি তুলে ধরা হবে বলে জানান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে অসম চুক্তিগুলো রয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্টদের বরাবর চিঠিও দেওয়া হচ্ছে।

সারের সংকট বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, দেশে সারের কোনও সংকট নেই। কেউ যদি সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে- প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

যেসব ডিলাররা সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করবে, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে; তাদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “কৃষকরাই আমাদের অর্থনীতির প্রাণ। তারা যেন ন্যায্যমূল্যে ও সঠিক সময়ে সার ও বীজ পায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”  

মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) স্থাপনাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড ও অন্যান্য দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সেখানে নিয়মিত মহড়া দিতে হবে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে অপ্রয়োজনীয় ডেকোরেশন বন্ধ করতে হবে; কেননা, ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কারণে অনেক সময় অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলে সতর্ক করেন উপদেষ্টা।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অতীতের বদনাম ঘুচিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে তাদের কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; তবে ফ্যাসিস্টদের কোনও অবস্থায় ছাড় দেওয়া যাবে না উল্লেখ করের উপদেষ্টা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন তিনি।

কৃষ্টি উপদেষ্টা বলেন, যত্রতত্র ভবন নির্মাণ করার ফলে কৃষি জমির পরিমাণ দিনদিন কমছে। সেজন্য সরকার ‘কৃষি জমি সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে।

“খাদ্য নিরাপত্তায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ একান্ত জরুরি। আমাদের দেশে সবজি সংরক্ষণে কোনও সংরক্ষণাগার নেই। তাই ফুলকপি, শালগম, গাজরসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি সংরক্ষণে ছোট ছোট স্টোর বা সংরক্ষণাগার করা যায় কি না—সেটা ভেবে দেখা হচ্ছে” বলেন উপদেষ্টা।  

তিনি বলেন, জনগণের জন্য উপকারী উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোকে সরকার সবসময় স্বাগত জানায়। সেগুলো বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে অর্থের অভাব হবে না।  

পরে উপদেষ্টা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত