ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডালিয়া আক্তার নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীর শরীরের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। এসময় তার পরনে ছিল সাদা অ্যাপ্রোন, গলায় ছিল স্টেথোস্কোপ।
মঙ্গলবার হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে তাকে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা আটক করেন বলে জানান ইউনিটের চিকিৎসক ডা. নাসির উদ্দিন আহমেদ। এরপর ডালিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়।
অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “একজন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আজ তিনি ফলোআপে এসেছিলেন। ওই রোগীকে নিয়ে হাসপাতালের আরেকজন চিকিৎসকের কক্ষে ঢুকে তিনি নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সেই রোগীর বিষয়ে জানতে চান। এসময় তার পরনে ছিল চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন আর গলায় ঝোলানো ছিল স্টেথোস্কোপ।”
নিজেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বলেও পরিচয় দেন ওই নারী।
কিন্তু তার কথাবার্তায় ইউনিটের চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়, তখন তারা তাকে জেরা করেন।
ডা. নাসির বলেন, “কথাবার্তার এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হন যে তিনি এখানে নিয়মিত আসেন। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই রোগীদের নিয়ে ডিল করেন।”
বিষয়টি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রশাসনকে জানানো হলে তারা নিরাপত্তারক্ষীদের পাঠান। নিরাপত্তারক্ষীরাই ওই নারীকে আটক করেন।
পরে বার্ন ইউনিটের ওয়ার্ড মাস্টার শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
এর আগে গত বছর মুনিয়া খান রোজা, পাপিয়া আক্তার স্বর্না ও রিপা আক্তার নামে তিন ভুয়া নারী চিকিৎসককে ঢামেক হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।