Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

টিউলিপের পদত্যাগ গ্রহণ করে যা বললেন স্টারমার

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
[publishpress_authors_box]

সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার শুরু থেকে তার পাশে ছিলেন দীর্ঘদিনের বন্ধু যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

কিন্তু টিউলিপের সূত্র ধরে একপর্যায়ে যখন ব্রিটিশ পত্রপত্রিকা খবর ছাপে, তার খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সখ্য ছিল স্টারমারের, গত বছর তার নির্বাচনী প্রচারে কাজ করেছে হাসিনার দল আওয়ামী লীগ, তখন বিপদে পড়েন তিনি।

গুঞ্জন ওঠে, মাত্র ছয় মাস আগে ক্ষমতায় বসা স্টারমার হয়তো নিজের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ধরে রাখতে টিউলিপকে এবার বিসর্জন দেবেন।                                         

সেই গুঞ্জন সত্যি প্রমাণ করেন টিউলিপ নিজেই। নিজেকে বারবার নিরপরাধ দাবি করার পরও মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে তার পদত্যাগের খবর আসে। তিনি নিজেই তার এক্স হ্যান্ডেলে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

টিউলিপের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে সায়ও দেন স্টারমার। পদত্যাগের জবাবে টিউলিপকে একটি চিঠি লেখেন, যাতে তিনি উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে কোনও এক সময়ে তার প্রশাসনে আবার যোগ দিতে পারবেন টিউলিপ। 

১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে পাঠানো চিঠিতে স্টারমার বলেন, “মন্ত্রীর পদ থেকে আপনার ইস্তফা আমি দুঃখের সঙ্গে গ্রহণ করছি।

“ট্রেজারি বিভাগে ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসেবে আপনার অঙ্গীকারের জন্য ধন্যবাদ ‍দিতে চাই।

“আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে আমি আপনাকে এও জানাতে চাই, স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, তিনি আপনার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতিমালা লঙ্ঘনের কোনও প্রমাণ পাননি। আপনার বিরুদ্ধে তোলা আর্থিক দুর্নীতিরও প্রমাণ মেলেনি।”

চিঠিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ব্রিটেনকে পরিবর্তন করার এজেন্ডা নিয়ে আমরা যে কাজ শুরু করেছি, সেখান থেকে দিকভ্রান্ত করার চলমান চেষ্টার মধ্যে আপনি কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

“আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আগামীতে আপনার জন্য দরজা খোলা থাকবে। অনেক অনেক শুভকামনা।”

কিয়ার স্টারমার ও টিউলিপ সিদ্দিক।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ (৪২) গত জুনে টানা চারবারের মতো এমপি হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের মন্ত্রিসভায় স্থান পান।

এর দু’মাস পর বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তার খালা শেখ হাসিনা।

এরপর থেকে টিউলিপের বিরুদ্ধে বাড়ি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে। সেসব অভিযোগে বলা হয়, তার খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব বাড়ি বিভিন্ন সময়ে টিউলিপকে উপহার হিসেবে দেন।  

এসব অভিযোগের মধ্যেই ব্রিটিশ পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবার পার্টি থেকে ২০১৬ সালে প্রথম এমপি হওয়ার পর বাংলাদেশ সফর করেছিলেন স্টারমার। দেখা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে।

এছাড়া ২০২৪ সালে স্টারমারের নির্বাচনী প্রচারে আওয়ামী লীগের প্রবাসী নেতাদের অংশগ্রহণের কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।  

এ নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে চাপে পড়েন স্টারমার। এরই একপর্যায়ে তার মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়ান টিউলিপ সিদ্দিক।     

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত