Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার

মতিউর রহমান ও লায়লা কানিজ।
মতিউর রহমান ও লায়লা কানিজ।
[publishpress_authors_box]

গত কোরবানির ঈদে ছেলের দামি ছাগল কেনা নিয়ে আলোচনায় আসা সাবেক এনবিআর সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি জানান, ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাবেক এনবিআর সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করেছে।

ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়।

গত কোরবানির ঈদের আগে ঢাকার সাদিক এগ্রো থেকে ১২ লাখ টাকায় ছাগল কিনে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক তরুণ।

তখন ফেইসবুকে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে যে ইফাতের বাবা একাদশ বিসিএসের (শুল্ক ও আবগারি) কর্মকর্তা মতিউর রহমান। তাকে ‘বাবা’ সম্বোধন করে ইফাতের পোস্টও ছড়িয়ে পড়ে ফেইসবুকে।

শুধু তাই নয়, এই ছাগলের সঙ্গে ইফাতের নানা ব্র্যান্ডের গাড়ির ছবিও আসে ফেইসবুকে। তা ধরে মতিউরের সম্পদ নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।

‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচনায় আসা মতিউরের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৩ জুন অনুসন্ধানে নামে দুদক।

এরপর তাকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে যুক্ত করা হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে সরকার মনোনীত পরিচালক পদ থেকেও। পরে তিনি নিজেই চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন।

সংবাদমাধ্যমে একের পর এক মতিউর, তার স্ত্রী ও সন্তানের সম্পদের খবর আসার মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে।

এরই মধ্যে ১০৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গত ৬ জানুয়ারি মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, তার প্রথম স্ত্রীর মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা ও ছেলে তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক। এসব সম্পদ অর্জনে সহায়তা করার অভিযোগে তিন মামলাতেই মতিউর রহমানকেও আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত