Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া চুক্তি মেনে নিয়েছে হামাস

gazaa
[publishpress_authors_box]

ফিলিস্তিনের গাজায় অচিরেই যুদ্ধবিরতি হতে পারে। এ সংক্রান্ত একটি খসড়া চুক্তি হামাস মেনে নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে এপি।

হামাস ও ইসরায়েল এখনও চুক্তির বিস্তারিত চূড়ান্ত করছে। এই চুক্তি ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ থামাবে।

বুধবার কাতারে দীর্ঘ আলোচনার পর গাজায় যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত বিস্তারিত নিয়ে আলোচকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মতে, ইসরায়েল ও হামাস এখন চুক্তি স্বাক্ষরের সবচেয়ে কাছাকাছি।

যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতার গত বছর থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির বিষয়ও রয়েছে। মঙ্গলবার কাতারে আলোচকরা শেষ বিস্তারিত চূড়ান্ত করার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, উভয় পক্ষকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং শেষ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনও বলেছিলেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি অচিরেই হতে যাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনার এক পর্যায়ে বলা হয়েছিল, বাইডেন প্রশাসনের শেষ সপ্তাহে হামাস ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

প্রথম ধাপ পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে থাকলে চুক্তি কার্যকর হওয়ার ১৬ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। এই ধাপে বেঁচে থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং মৃত জিম্মিদের দেহ তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

চুক্তির আওতায় গাজা থেকে ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা হবে। তবে ইসরায়েলি বাহিনী সীমান্ত এলাকায় থাকবে, যাতে ইসরায়েলের সীমান্ত শহর ও গ্রামগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এছাড়া, গাজার দক্ষিণ সীমানায় ফিলাডেলফি করিডোরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

উত্তর গাজার নিরস্ত্র বাসিন্দাদের ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার কেন্দ্রীয় নেটজারিম করিডোর থেকে সরে যাবে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ড বা প্রাণঘাতী আক্রমণে দোষী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে। তবে তাদের সংখ্যা জীবিত জিম্মিদের সংখ্যা অনুসারে নির্ধারিত হবে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আক্রমণে অংশ নেওয়া হামাস যোদ্ধাদের মুক্তি দেওয়া হবে না। গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্য বাড়ানো হবে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, এনিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজায় হামাসের কোনও ভূমিকা থাকবে না। তারা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণও প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইসরায়েল গাজায় অভিযানের শুরু থেকেই বলেছে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও তারা গাজার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনে করে, গাজার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনিদের হাতেই থাকা উচিত।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত